দেশজুড়ে

ফণীর প্রভাবে বাগেরহাটের আকাশজুড়ে কালো মেঘ

ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে মোংলা বন্দরে জারি করা হয়েছে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত। বন্দর জেটি ও আউটার অ্যাংকরেজে অবস্থানরত ১৫ জাহাজ নিরাপদে রাখা হয়েছে। এছাড়া ঘর্ণিঝড়ের কারণে বন্দরের পণ্যবোঝাই ও খালাসের কাজ বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাগেরহাটের উপকূলের আকাশ কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে। এইকসঙ্গে উপকূলজুড়ে ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি বাড়ছে বাতাসের গতি।

এদিকে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসন বুধবার বিকেলে প্রস্তুতি সভা করেছে। জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় বাগেরহাট জেলার ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার কথা জানানো হয়। জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলার প্রতিটিতে একটি করে কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০টি মেডিকেল টিম। সকল সরকারি কর্মকতা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবকদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার দূরুল হুদা জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় সর্বাত্বক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে মোংলা বন্দরে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকালে বন্দরে জারি করা হয়েছে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত।

Advertisement

সুন্দরবনে পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় ফনীর আগাম পস্তুতি হিসেবে সুন্দরবন বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নিরাপদে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবনের করমজল ও হারবাড়ীয়া পর্যটন কেন্দ্রের পর্যটকদেরও সরিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শওকত আলী বাবু/এফএ/জেআইএম