ঘূর্ণিঝড় ফণীর আতঙ্কে কাঁপছে ভারতের তিন রাজ্য। তীব্র ঝড় ও প্রবল বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ১০৩টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে এবং ২টি ট্রেনকে অন্য রুটে ঘুরিয়ে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ওড়িশার ১৯ জেলাসহ অন্ধ্র ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী বেশ কয়েকটি জেলায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী। বুধবার মধ্যরাতে পুরী থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল ফণী। সেটি ক্রমে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পর্যটকদের পুরী ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
শুক্রবার দুপুর নাগাদ পুরীতে আঘাত হানতে পারে ফণী। ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ২০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি হতে পারে। এর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে ওড়িশার ১৯ জেলায়। তবে ওড়িশার গজপতি, গঞ্জাম, পুরী, কেন্দ্রপাড়া, কোরাপুট, রায়গাড়া, কান্দামাল জেলায় বৃহস্পতিবার থেকেই প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যের কথা মাথায় রেখে তৈরি রয়েছে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী। এছাড়াও ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
Advertisement
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-২৭) জানানো হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী সামান্য উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১১০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement