প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডব মোকাবেলায় ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ওড়িশায় অন্তত ৭৪টি ট্রেনের চলাচল বাতিল করা হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব মোকাবেলায় রাজ্যের আবহাওয়া অধিদফতর উপকূলীয় এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। ফণী মোকাবেলায় রাজ্যের যেসব উপকূলীয় জেলায় নির্বাচন রয়েছে, সেসব এলাকা থেকে নির্বাচনী বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। রাজ্যে দেশটির নৌ-বাহিনী, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সদস্যদের উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
Advertisement
রাজ্যের আবহাওয়া দফতর বেশ কিছু এলাকায় ভারী থেকে প্রবল বর্ষণ হতে পারে বলে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। শুক্রবার ওড়িশা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘ফণী’র। শক্তি সঞ্চয় করে ধীর গতিতে বঙ্গোপসাগরে ঘোরপাক খাওয়া এই ঝড়ের তাণ্ডবে ওড়িশার পাশাপাশি ধ্বংসাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ।
আরও পড়ুন : ফণীর তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে উপকূল খালি করার নির্দেশ
এ দুই রাজ্যেও উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্র ওড়িশায় ৮৭৯ টি সাইক্লোন আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের সময় এসব আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ১০ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।
Advertisement
এদিকে, উত্তরাঞ্চলের উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে ফণীর প্রবল ঝড়ো আবহাওয়া ও বর্ষণ মোকাবেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী বর্তমানে তামিলনাড়ুর বিশাখাপত্তমের পূর্ব উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার ও পুরি থেকে ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
গত ৪৩ বছরে অর্থাৎ ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে যতগুলো ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে তার কোনোটি কখনই এতো শক্তিশালী আকার ধারণ করেনি।
এসআইএস/এমকেএইচ
Advertisement