জাতীয়

নির্ধারিত কর্মঘণ্টা ও বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন দাবি

সঠিক কর্মঘণ্টা ও বেতন কাঠামোর দাবিতে সমাবেশ করেছেন শ্রমিকরা। খাওয়া ও যাতায়াত বাবদ অর্থ বরাদ্দ, বাসা ভাড়া, চিকিৎসা ব্যয় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

Advertisement

বুধবার মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও লাল পতাকাসহ মিছিল নিয়ে সমাবেশে জড়ো হন শ্রমিকরা। এ সময় বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন শ্রমিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো।

বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, বাংলাদেশ কিষানী সভা, বাংলাদেশ আদিবাসী সমিতি, বাংলদেশ ভূমিহীন সমিতি ও বাংলাদেশ ভাসমান নারী শ্রমকি ইউনিয়নের একই ব্যানারে শ্রমিক ও কৃষকবান্ধব বাজেট চেয়ে মানববন্ধন।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি পুনর্বিবেচনা করে ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা শ্রম আইন প্রণয়ন করা, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা ও মাইকেল চাকমার সন্ধান চেয়ে বিপ্লবী গার্মেন্টস-টেক্সটাইল শ্রমিক ফোরামের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়। বৃহত্তর টেলিকম শিল্প সুরক্ষায় নিরাপদ কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে বাংলালিংক এমপ্লোয়িজ ইউনিয়ন।

Advertisement

মেধাভিত্তিক শিল্প শ্রম আইন আধুনিকায়নের আলোকে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ জরুরি এমন দাবিতে গ্রামীণফোন এমপ্লোয়িজ ইউনিয়ন এর মানববন্ধন।

এদিকে বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে উপস্থিত হন বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

সংগঠনের সভাপতি দুলাল সরদার বলেন, বর্তমানে স্বল্পবেতন নিয়ে আমরা সংসার চালাতে পারছি না। একজন গার্মেন্টস শ্রমিকের ন্যূনতম বেতন ৮ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ আমরা পাচ্ছি ৫ হাজার টাকা। এই বেতন নিয়ে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) এর ব্যানারে মানববন্ধন ও র্যালিতে দাবি করা হয় যথাক্রমে- সরকারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তালিকা করে আইডি নম্বর দিতে হবে। তালিকাভুক্ত সাংবাদিকদের মাসিক ভাতা দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করতে হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো সাংবাদিককে গ্রেফতার করা যাবে না।

Advertisement

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও ঝুঁকি ভাতাসহ সাত দফা দাবি নিয়ে প্রেসক্লাবে এসেছে ঢাকা ইলেকট্রিশিয়ান ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। এ সংগঠনের সভাপতি রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমাদের কাজ খুব ঝুঁকিপূর্ণ। জীবন হাতে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। অথচ আমাদের ঝুঁকিভাতা নাই। অবিলম্বে আমাদের ঝুঁকিভাতা দিতে হবে।

এফএইচ/এসএইচএস/এমকেএইচ