এমপি হিসেবে শপথ নেয়াসহ সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় বিএনপি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, ওরা যে কী করে! তারেক তো ওই জায়গায় বসেই আছে, ঘুড়ির নাটাই হাতে নিয়ে।
Advertisement
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। আওয়ামী পেশাজীবী হিসাববিদ পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অনুষ্ঠানের বাইরে কথা বলছি, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছিলাম-এরা (বিএনপির এমপিরা) আসবে না, আসলেও আবার চলে যাবে। তবে সাতজন কিন্তু এসেছে। ওরা যে কী করে! ঘুড়ির নাটাই হাতে করে তারেক তো ওখানে বসেই আছে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক নাটকীয়তার পর বিএনপির এমপিরা শপথ নিয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শপথ নিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তারা সংসদে কতদিন থাকবেন বলা যাচ্ছে না। তারা সংসদে থাকলেও সব কলকাঠি তারেকের হাতে।’
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার মানুষের প্রতি যে কত দরদ! কাছে থেকে দেখেছি। কেউ যদি ওনাকে বলেন, আমার বাবা মারা গেছে। মনে হয় যেন ওনার বাবা মারা গেছন। তার মন, চেহারা...টোটাল এত খারাপ হয়।’
বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘আমরা কী পেলাম, না পেলাম-এই চিন্তা না করে আমাদের সন্তান, নাতি-পুতি অর্থাৎ পরবর্তী প্রজন্ম কী পেল-সেটা চিন্তা করে আসুন আমরা দেশ গড়ার কাজ করি। আমরা আজ এই মহান মে দিবসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের মতো সোনার বাংলা গড়ার শপথ নেই।’
শ্রমিকদের দাবি পূরণে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার ভূমিকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সবসময় শ্রমিকদের আগলে রাখতেন, ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শ্রমিকদের আগলে রাখেন। শ্রমিকদের সব দাবি পূরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতো শেখ হাসিনা শ্রমজীবী মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। শ্রমিকদের সব দাবি পূরণে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। শ্রমজীবীসহ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করছেন।’
Advertisement
দেশের উন্নয়নে শ্রমিকদের অবদান প্রসঙ্গে মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘দেশের সব উন্নয়নেই শ্রমিকদের ভূমিকা সবার আগে। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও আমি ভালো শাড়ি ব্যবহার করি না। ভালো শাড়ি ব্যবহার করলে মনে হয় শ্রমিকদের কাছ থেকে দূরে চলে যাচ্ছি। শ্রমিকরা চাইলে দেশটাকে লণ্ডভণ্ড করতে পারেন, আবার শ্রমিকরা চাইলে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশকে সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারেন।’
পরিষদের সভাপতি আসাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, আওয়ামী পেশাজীবী হিসাববিদ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সাজ্জাদ হাসান প্রমুখ।
এফএইচ/এসআর/এমকেএইচ