জাতীয়

বীমা কর্পোরেশনের মূলধন বাড়ল

জীবন বীমা ও সাধারণ বীমাকে কর্পোরেশনের অনুমোদিত এবং পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে নতুন আইন করার প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘বীমা কর্পোরেশন বিল- ২০১৯’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।

গত ৬ মার্চ বিলটি সংসদে তোলেন অর্থমন্ত্রী। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ১৯৩৮ সালের ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অ্যাক্ট রহিত করে নতুন আইন করতে বিলটি পাস করা হয়েছে।

এতদিন জীবন বীমা এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন ছিল ২০ কোটি টাকা। সংসদে উত্থাপিত বিলে জীবন বীমা কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ১২৫ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।

Advertisement

সংসদীয় কমিটি সাধারণ বীমা কর্পোরেশেনের অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করে। যেটি সংসদে পাস হয়েছে।

বিলে জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের পরিচালনা বোর্ডের পরিচালকের সংখ্যা সাত থেকে বাড়িয়ে ১১ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

১৯৭৩ সালের আইনে সরকারি সম্পর্কিত ৫০ শতাংশ বীমা বাধ্যতামূলকভাবে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের কাছে এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ সাধারণ বীমা কর্পোরেশন অথবা অন্য কোনো বেসরকারি কোম্পানির কাছে করার বিধান ছিল।

বিলে কোনো সরকারি সম্পত্তি অথবা সরকারি সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কোনো ঝুঁকি বা দায় সম্পর্কিত সকল প্রকার নন-লাইফ বীমা ব্যবসা সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের শত ভাগ অবলিখন (আন্ডারাইট) করে তার ৫০ শতাংশ নিজের কাছে রেখে অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ সব বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে সমহারে বণ্টনের বিধান করা হয়েছে।

Advertisement

এইউএ/এএইচ/এমএস