জাতীয়

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকির শীর্ষে বাংলাদেশ

বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

Advertisement

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে বিকেলে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম ঘোষণার পর থেকে সরকার সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, সরকার সম্প্রতি পরিবেশ বিষয়ক বেশ কিছু বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন অংশীজনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অভিযোজন ও স্বল্প-কার্বন নির্গমনের (এলসিডি) জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা (বিসিসিএসএপি) প্রণয়ন করা হয়েছে। পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) সহায়তায় ‘জাতীয় টেকসই উন্নয়ন কৌশল (এনএসডিএস) প্রণয়ন করা হয়েছে। পরিবেশ, প্রাকৃতিক সম্পদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে অন্যতম কৌশলগত অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত এবং টেকসই উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিস্তৃত কর্মপ্রক্রিয়া সুষ্পষ্ট করা হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পরিবেশগত স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমন্বয় করতে সবুজ প্রবৃদ্ধি কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মূলত তিনটি থিমের উপর ভিত্তি করে এ কৌশল নেয়া হয়েছে।

সেগুলো হচ্ছে, -জলবায়ু পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা ও স্থিতিস্থাপকতা (অভিযোজন ও প্রশমন সমন্বয়ে), পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা।

জলবায়ুর ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় (২০১৬-২০২০) বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ শতবর্ষের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

পরবর্তী আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ সালে

Advertisement

আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে সর্বশেষ আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০১১ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ২০১১ সাল পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ সাত কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৮৬ এবং মহিলা সাত কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার ৯৭৮ জন। পরবর্তী আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হবে। কারণ পরিসংখ্যান আইন-২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে পাস হয়।

এমইউএইচ/এএইচ/এমএস