দেশের সবাই কী জানে আমাদের দেশের খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পাকিস্তানি ভূতেরা বসবাস করে? আমি তার অকাট্য প্রমাণ একবার পেয়েছিলাম ২০১৪ সালের ২৬ মার্চ যখন গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ আয়োজন করা হয়েছিল।
Advertisement
আমি তাদের ছবি দেখে আতংকে চমকে উঠেছিলাম, সবার মাথায় সবুজ বেসবল ক্যাম্প পাকিস্তানি সাদা চাঁদ তারা। খুব কাছ থেকে দেখে আমি বুঝতে পারলাম যে আসলে বঙ্গবন্ধুর ছবি এবং নিচের লেখাটি এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যেন একটু দূর থেকেই সেটাকে পাকিস্তানি চাঁদ তারা মনে হয়!
এটি কী কাকতালীয় একটা ঘটনা? মোটেও নয়, যতদূর মনে পড়ে সেবার একজন স্পন্সর ছিল ইসলামী ব্যাংক এবং নিশ্চিতভাবে সেটি ছিল তাদেরকে খুশি করার একটা চেষ্টা। সেবার যখন প্রায় আড়াই লাখ শিশু-কিশোর জাতীয় সঙ্গীত গাইছিল তখন সবার মাথায় পাকিস্তানি চাঁদ তারার সেই ছবি দেখে নিশ্চয়ই এই দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসবাসকারী পাকিস্তানি ভূতেরা আনন্দে অট্টহাসি করে উঠেছিল।
তারা আবার আনন্দে অট্টহাসি করে উঠেছে কারণ এবারের বিশ্বকাপের জার্সির রঙ সেই পাকিস্তানি সবুজ এবং সাদা। যারা এই জার্সি তৈরি করেছেন তারা কী জানেন না আমাদের দেশের জাতীয় পতাকার রঙ লাল সবুজ?
Advertisement
এই দেশের একটি শিশু পর্যন্ত কিছু একটা আঁকতে হলে সেখানে সবার আগে লাল এবং সবুজ রঙ ব্যবহার করে। আমাদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জার্সিতে লাল রঙটুকু কোথায়?
তারা কী জানে না যে আমাদের জাতীয় পতাকার মাঝখানের লাল রঙটি শধুমাত্র একটি রঙ নয় এটি তার চাইতে অনেক বড় একটা কিছু? এই লাল রঙটি যে আমাদের আপনজনের বুকের রক্ত দিয়ে রঙ করা হয়েছে তারা সেটি জানে না?
আমাদের বিশ্বকাপ দলের এই পাকিস্তানি জার্সিটির আমি তীব্র প্রতিবাদ করছি। সারা পৃথিবীর মাত্র দশটি দেশের একটি বাংলাদেশ এই বিশ্বকাপ খেলবে। খেলার মাঠে আমরা তাদের লাল সবুজ রঙের জার্সিতে দেখতে চাই, পাকিস্তানি জার্সিতে নয়।
তার সাথে আমরা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে থাকা এই সব পাকিস্তানি ভূতদের পরিচয় জানতে চাই। তারা কারা?
Advertisement
লেখক : সাবেক অধ্যাপক, শাবিপ্রবি। কথাসাহিত্যিক।
এইচআর/পিআর