আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে ফণী। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঝড়ের শক্তি আরও বাড়বে। বুধবার ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলে আঘাত হানবে এটি।
Advertisement
অন্ধ্র উপকূল হয়ে ওড়িষ্যা উপকূলের দিকে অগ্রসব হবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর ক্রমশ শক্তি হারাবে। এর প্রভাবে বুধবার থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই শক্তি বাড়তে শুরু করেছে ফণীর। ১ ও ২ মে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ফণী যত এগিয়ে আসবে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িষ্যার সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সোমবার থেকেই কেরালার কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে যে, ৩ মে থেকে ওড়িষ্যায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে।
Advertisement
ফণী যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। তাই তামিলনাড়ু, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িষ্যায় জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২ মে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। তবে ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর থেকেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। অর্থাৎ ঠিক কোন সময়, কত গতিতে আছড়ে পড়বে তা জানানো হবে বলে উল্লেখ করেছে আবহাওয়া দফতর।
এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণী প্রবল শক্তিশালী রূপ নিচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। সোমবার বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রাখা হয়।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement