আহলুল হুফফাজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারের মতো দেশব্যাপী ‘কুরআনিক ভয়েস’ শিরোনামে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ওই অনুষ্ঠানে মাশরাফির মেয়ে হুমায়রা মুর্তজা পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন।
Advertisement
নামাজ পড়া প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে থাকেন। বিদেশ সফরে তারা জামাতে নামাজ পড়েন। আর সেখানে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন মুশফিকুর রহিম অথবা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
আহলুল হুফফাজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ উদ্যোগে গত ২৭ এপ্রিল শনিবার জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআনুল কারিমের ৯৩ নম্বর সুরা ‘আদ-দোহা’ তেলাওয়াত করেন ছোট্ট হুমায়রা। আহলুল হুফফাজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি ছোট্ট হুমায়রার তেলাওয়াতে মুগ্ধ হয়ে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।
Advertisement
জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে মাশরাফি জানান, ‘আমরা নই, কুরআনের হাফেজরাই দেশের পতাকা বিদেশে উড়াচ্ছেন।’
তিনি বলেন, আমাদের দেশের অনেক হাফেজ বিদেশে গিয়ে সম্মান বয়ে আনছেন। আমাদের ক্রিকেটাদের সবাই চেনেন। আমরা কোথাও চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে দেয়া হচ্ছে।কিন্তু আজ এ দেশের হাফেজরা বিদেশে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ হয়ে আসছেন। এটি আমাদের জন্য অনেক গর্বের। আমি আশা করি, সবাই হাফেজদের সম্মান দেবেন।
মাশরাফি বলেন আর একটি কথা বলতে চাই-আমাদের ক্রিকেট দলে যারা মুসলিম আছেন, আমরা সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। প্রায় সবাই ওমরা পালন করেছি। সবসময় বিসিবি থেকে আলাদা একটি রুম দেয়া থাকে যাতে আমরা নামাজ পড়তে পারি।
বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে মাশরি বলেন, ‘আমাদের জন্য দোয়া করবেন, বিশ্বকাপে যেন ভালো করতে পারি এবং দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারি।’
Advertisement
আরও পড়ুন > কুরআনিক ভয়েসে মাশরাফির মেয়ে হুমায়রা
হুমায়রা মুর্তজার কুরআন তেলাওয়াতের ওই অনুষ্ঠানে মাশরাফির সঙ্গে তার স্ত্রী সুমনা হক সুমিও উপস্থিত ছিলেন।
এমএমএস/জেআইএম