মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পদ্মা নদীর ভাগ্যকুল খেয়াঘাট একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট কব্জাবন্দি করে রেখেছে। খেয়াঘাটে ট্রলার যোগে নদী পারাপারে যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ অবস্থায় সিন্ডিকেটে হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন খেয়াঘাটের যাত্রী সাধারণ। প্রতিবাদ করলেই যাত্রীদের মারধর করা হয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
Advertisement
পদ্মা নদীর ভাগ্যকুল থেকে পদ্মার ওপারের চরাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের একমাত্র ভরসা ভাগ্যকুল খেয়াঘাট। আর এ খেয়াঘাটে ট্রলারে যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছে মাফিক ভাড়া আদায় করার হয় যা সবাই জানে। এ অবস্থায় ভাড়া নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী যাত্রীদের সঙ্গে ট্রলার চালকদের বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকে।
জানা যায়, জেলা প্রশাসন থেকে এই খেয়াঘাটের ইজারা নিয়ে ঘাটটি নিয়ন্ত্রণ করছেন স্থানীয় যুবলীগের কর্মী মামুন, পারভেজ, লাবলু ও খালেদের নেতৃত্বাধীন একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
সম্প্রতি ওই সিন্ডিকেটের লোকজন ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে সবুজ মোল্লা নামে এক যাত্রীকে মারধর করে। তিনি উপজেলার বালাশুর গ্রামের বিল্লাল মোল্লার ছেলে। সবুজ মোল্লা পদ্মার চরের শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে খেয়াঘাটে ট্রলারে উঠেন। এ সময় ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে বিরোধ বাধলে তাকে মারধর করা হয়।
Advertisement
যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ভাগ্যকুল খেয়াঘাটে ট্রলারে পদ্মা নদী পারাপারে ভাড়া আদায় করা হয় ইচ্ছেমতো। যাত্রীদের কাছ থেকে এ খেয়াঘাটে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। একটি সিন্ডিকেট এ খেয়াঘাট নিয়ন্ত্রণ করছে। আর ওই সিন্ডিকেটের লোকজন ট্রলারে যাত্রী পারাপার করে থাকে। তারা ইচ্ছেমতোই ভাড়া আদায় করে থাকে। এ ব্যাপারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কারও কথা বলার সাহস পর্যন্ত নেই।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুচ আলী জানান, ঘটনাটা কয়েকদিন আগে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। এদিকে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে আমরা ঘাটটি পরিদর্শন করলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোনো অভিযোগ দেখা যায়নি।
ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এমএএস/এমএস
Advertisement