ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের সুবিধার্থে স্থায়ী মার্কেট গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
Advertisement
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
সোমবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত পঞ্চম ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মিলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে দক্ষ নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে এসএমই ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান জোরদার হয়েছে। এতে গতি সঞ্চার হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে।
Advertisement
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এসএমই উদ্যোক্তাদের বাজার সুরক্ষা এবং উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে। এসএমই খাতের আধুনিকায়ন এবং স্বল্প সুদে উদ্যোক্তাদের ঋণ সুবিধা দিতে সরকার ইতোমধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, ফ্যাশন হাউজ সাদাকালোর স্বত্তাধিকারী আজহারুল হক আজাদ, ফ্যাশন এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শাহীন আহমেদ, নারী উদ্যোক্তা তাহমিনা আমিন ইভা ও পারভিন আক্তার বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের স্বার্থে স্বল্প সুদে বেশি পরিমাণে ঋণের ব্যবস্থা করতে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তারা বলেন, এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বাজার লিংকেজ শক্তিশালী করতে প্রতি বিভাগে এ ধরনের ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মিলন আয়োজন করতে হবে। বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে দেশীয় ফ্যাশন ওয়্যার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে তারা একে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানান। একই সঙ্গে জাতীয় তাঁত দিবস ঘোষণার জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
Advertisement
দিনব্যাপী আয়োজিত এ ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মিলনে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪৫ জন সম্ভাবনাময় নতুন নারী উদ্যোক্তা অংশ নেন। তারা নিজেদের উৎপাদিত পাটজাত, চামড়াজাত ও হস্তশিল্প পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী প্রদর্শন করেন।
এসআই/এমএসএইচ/জেআইএম