বাংলাদেশের দর্শকদের ব্যাপারে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের সময় প্রখ্যাত ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে বলেছিলেন, ‘আপনি যদি চাঁদে বাংলাদেশ দলের ম্যাচ আয়োজন করেন, দেখবেন সেখানেও কিছু মানুষ লাল-সবুজ পতাকাটা ওড়াচ্ছেন অবিরাম।’
Advertisement
কথাটির হয়তো বাস্তবিক ভিত্তি নেই। তবে যা বোঝাতে চেয়েছেন তা একদমই ভুল বলেননি হার্শা। ক্রিকেটপাগল জাতি হিসেবে এরই মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানেই খেলা হোক টাইগারদের, গ্যালারিতে সমর্থনের কমতি পড়ে না কখনোই।
যার প্রমাণ মিলেছে বিদেশের মাটিতে বিগত বছরের সব বৈশ্বিক কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। যেখানে স্বাগতিক দর্শকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই নিজের উপস্থিতির জানান দিয়েছেন বাংলাদেশের দর্শকরাও। আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও তেমনটাই আশা করছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
আজ (সোমবার) বিশ্বকাপের আগে শেষ সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘দর্শকদের বিষয়ে আমি একটা কথাই বলবো, আমার ব্যক্তিগত চাওয়া আপনারা পুরো দলকে সাপোর্ট দিবেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুতে ম্যাচের পর ম্যাচ হেরেছি। তারপরও স্টেডিয়াম ভরা দর্শক পেয়েছি। এখন দেশের বাইরে খেলতে যাচ্ছি। আশা করি সেখানেও আপনাদের সাপোর্ট অবিরাম থাকবে। সামনে রোজা-ঈদ থাকলেও আপনারা ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। আমাদের পক্ষ থেকে ভালো করার ক্ষেত্রে কোনো আপস থাকবে না।’
Advertisement
এসময় মাশরাফি জানিয়ে দেন এটি তার শেষ বিশ্বকাপ হলেও, দেশের মাটিতে শেষ সংবাদ সম্মেলন কিনা তা বলতে চাননি তিনি। অর্থাৎ বিশ্বকাপ শেষেই যে অবসর নিয়ে নেবেন তা মানতে রাজি হননি টাইগার অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘এটাই আমার শেষ প্রেস কনফারেন্স কি না, তা কিভাবে বলবো! কারণ এখনো আমি কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমি আপনাদের আগে বলেছি আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু করি না। তবে এটা ঠিক যে এটাই শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু দেশের মাটিতে শেষ প্রেস কনফারেন্স কি না তা বলতে পারছি না।’
এসএএস/জেআইএম
Advertisement