রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলায় জঙ্গি আস্তানার অভিযানে নিহত দুই জঙ্গির ছিন্নভিন্ন মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিকেল ৪টার দিকে এ অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
Advertisement
র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আস্তানা থেকে আলামত সংগ্রহ ও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাব সদস্যরা আস্তানা ঘেরাও করে রেখেছেন। নিহত দুই জঙ্গির মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন> ‘গোলাগুলির শেষের দিকে তারাই বাড়িটি উড়িয়ে দেয়’
অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, বিকেল ৪টায় (সোমবার) অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ঘটনাস্থলে ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তা, সিআইডি কর্মকর্তারা কাজ করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৩টা বিদেশি পিস্তল, অবিস্ফোরিত ৪টি ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
Advertisement
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গি আস্তানায় কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এখনও আস্তানায় আগুনে জ্বলছে।
কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম বলেন, র্যাবের অভিযানে সম্ভাব্য দুই জঙ্গি নিহত হয়েছেন। তারা মাত্র ১৫০০ টাকায় টিনশেডের ঘরটি ভাড়া নেন। সেখানে কেয়ারটেকার সোহাগ স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। তারা (সম্ভাব্য দুই জঙ্গি) ঘর ভাড়া নেয়ার যে ফরম আছে সেটা পূরণ করেননি এবং তাদের বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য কেয়ারটেকার সোহাগের কাছেও নেই। ঘর ভাড়া নেয়ার সময় তাদের একজন পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী এবং অন্যজন ভ্যানগাড়ির চালক হিসেবে পরিচয় দেন।
আরও পড়ুন> কমপক্ষে দুজন নিহত : র্যাব ডিজি
প্রসঙ্গত, জঙ্গি আস্তানা রয়েছে- এমন সন্দেহে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোহাম্মদপুর বছিলার মেট্রো হাউজিং এলাকায় অভিযান শুরু করেন র্যাব সদস্যরা। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা সেখানে বিস্ফোরণ ঘটায়। ভোর ৫টার দিকে বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
Advertisement
পরে আস্তানাটি ঘেরাওয়ের পর কেয়ারটেকারসহ তিনজনকে আটক করেন র্যাব সদস্যরা। সোমবার সকাল ৯টার দিকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িটিতে যায় র্যাবের বোম ডিসপোজাল দল। তারা সেখানে ছিন্নভিন্ন দেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখেন।
জেইউ/আরএস/পিআর