খেলাধুলা

‘সন্দেহ নেই, এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ’

বয়সের কাঁটা ৩৫ পেরিয়েছে গতবছরেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছেড়েছেন তারও এক বছর আগে। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন হয়তো ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই থেমে যাবেন মাশরাফি, বিদায় জানাবেন সবধরনের ক্রিকেটকে। তা হয়নি, বরং ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন টাইগার অধিনায়ক।

Advertisement

তবে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপটিই যে তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ, সে বিষয়ে সংশয় ছিলো খুব অল্পই। আজ তা নিজেই নিশ্চিত করলেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

সোমবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কনফারেন্স হলে বিশ্বকাপের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মাশরাফি। প্রশ্ন ছিলো, সম্ভাবনা রয়েছে এটিই আপনার শেষ বিশ্বকাপ। তো এই বিশ্বকাপের জন্য আলাদা কিছু করার পরিকল্পনা কিংবা আলাদা কিছু করবেন কিনা মাশরাফি?

উত্তরে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘কোনো সম্ভাব্যতা নয়, এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। এখানে ব্যাপারটা হচ্ছে যে আলাদা করে তৈরি হওয়ার কিছু নাই। বিশ্বকাপের জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুত হতে যাওয়াও একটা চাপ। এছাড়া আমার কাছে মনে হয় না আলাদা কোনো প্রস্তুতি নিয়ে আমি ইংল্যান্ডে কিছু করতে পারবো।’

Advertisement

এসময় মাশরাফি জোর দেন আগে ব্যক্তি খেলোয়াড় হিসেবে পারফর্ম করার ওপর। পরে অধিনায়কের দায়িত্বগুলো যথাযথ পালন করার। তিনি বলেন, ‘আমি আগে খেলোয়াড় হিসেবে পারফর্ম করার চেষ্টা করবো। অবশ্যই অধিনায়কত্বটা গুরুত্বপূর্ণ হবে, তাই আমার যে দায়িত্বগুলো চেষ্টা করবো সেগুলো পুরোপুরি ঠিক করে রাখার, ঠিকভাবে কাজগুলো করার।’

অভিজ্ঞতার বিচারে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী অন্য দলগুলোর চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। মাশরাফি নিজেই খেলেছেন ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে। ক্রিস গেইলব্যতীত চলতি বিশ্বকাপে আর কারো নেই এ অভিজ্ঞতা। এছাড়া সাকিব, তামিম ও মুশফিক খেলেছেন ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে। মাহমুদউল্লাহ ও রুবেলের রয়েছে দুইটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা।

তবে স্রেফ অভিজ্ঞতা দিয়েই যে বিশ্বকাপে মাত করা যাবে তা মানেন না মাশরাফি। বরং গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নিজেদেরকে মানসিকভাবে শক্ত রাখতে পারলেই মিলতে পারে সফলতা। টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে অনেক। সে জায়গা থেকে গত কয়েক আসরের চেয়ে এ দলটা ব্যালেন্সড বলা যায়। জুনিয়র খেলোয়াড়দেরও বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তার মানে এই না যে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকলেই ভালো টুর্নামেন্ট খেলা যাবে। আমাদের অবশ্যই একতাবদ্ধ থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘লম্বা একটা টুর্নামেন্ট, অন্তত ৯টা ম্যাচ...তার আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। তবু ৯টা ম্যাচ, কঠিন পরিস্থিতি আসবেই। সেগুলো হ্যান্ডেল করার মানসিকতা থাকতে হবে। কখনো দেখা যাবে সময় আমাদের পক্ষে নেই, ফলাফল পক্ষে আসেনি। তার পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতা রাখতে হবে।’

Advertisement

এসএএস/এমএস