অব্যাহতভাবে টানা বৃষ্টির কারণে সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বাড়তে থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার নদী তীরবর্তী সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার শতাধিক গ্রাম আবারো বন্যা কবলিত হবার কারণে নতুন করে দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার মানুষ। অনেক এলাকায় পানি নেমে গিয়ে নতুন করে পানি বাড়ার জন্য দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। এদিকে বানভাসী মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং শুকনা খাবারের সঙ্কট। চরাঞ্চলের বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই পানিতে তলিয়ে গেছে। এজন্য এ সকল এলাকায় পাঠদান ও পরীক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে প্রায় ৩ সপ্তাহ যাবৎ জেলার কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও সদর উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। যমুনা নদীর পানি আরো বাড়ার কারণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়ায় জেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। তাই এসব এলাকায় চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে। টানা বৃষ্টি ও বন্যায় জেলার কাঁচা মরিচের আবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সামনে শীতের শাক সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চণ্ডীদাশগাঁতী গ্রামের সবজি চাষী আব্দুল ওয়াদুদ জাগো নিউজকে জানান, শীতের সবজি চাষের জন্য এখনই জমি তৈরি করার সময়। কিন্তু জমিতে পানি থাকায় সেখানে কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। এজন্য আগামীতে শীতের সবজি উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।সিরাজগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জাগো নিউজকে জানান, পানি কমে গিয়ে আবারো বাড়তে শুরু করায় বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে পানি উঠতে শুরু করেছে। প্রতিবছরের এসময়ে নদীতে পানি স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। তবে আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে পানি আবারো কমতে শুরু করবে। বর্তমানে পানি যে অবস্থায় আছে তা নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। বাদল ভৌমিক/এমজেড/আরআইপি
Advertisement