শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের দিন ভয়াবহ হামলার সঙ্গে জড়িত কট্টরপন্থী গোষ্ঠী ন্যাশনাল তৌহিদ জামাতের (এনটিজে) সদর দফতর ঘেরাও করে অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। তিনটি গির্জা ও তিনটি বিলাসবহুল হোটেলসহ আটটি স্থানে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তার প্রধান অভিযূক্ত সেই চরমপন্থী দলটির প্রতিষ্ঠাতা।
Advertisement
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বাত্তিকালোয়ার কাট্টানকুডি শহরে ন্যাশনাল তৌহিদ জামাতের সদর দফতর ঘেরাও করে অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
গত শনিবার শ্রীলঙ্কা সরকার ন্যাশনাল তৌহিদ জামাতসহ দুটি ইসলামী চরমপন্থী দলকে নিষিদ্ধ করেছে। কর্তৃপক্ষের ধারণা, ইস্টার সানডে হামলার মূলহোতা জাহরান হাশিম এনটিজে’র প্রতিষ্ঠাতা। তবে আত্মঘাতী সেই বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট।
আরও পড়ুন>> বাড়ি ঘরে হামলা করছে লঙ্কানরা, পালাচ্ছে শত শত মুসলিম
Advertisement
পুলিশ সন্দেহ করছে, আত্মঘাতী সেই বোমা হামলার ঘটনায় দেশটির দুটি ইসলামী চরমপন্থী দল জড়িত ছিল। যার একটির প্রতিষ্ঠাতা হলেন ইস্টার সানডে হামলার মূলহোতা জাহরান। তাছাড়া হামলার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে দেশটিতে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এনটিজে ছাড়াও জামিয়াতুল মিল্লাতু ইব্রাহিম নামে অন্য একটি ইসলামী চরমপন্থী দলও হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, দুই দিন আগে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জাহরানের বাবা ও দুই ভাই নিহত হয়েছেন।
গত রোববার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে চলাকালে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় ‘তিন শতাধিক’ মানুষ নিহত হয়েছেন। রাজধানী শহর কলম্বো, অদূরের নেগম্বো ও পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বাত্তিকালোয়র সেই হামলায় আহত হয়ে অন্তত ৫০০ মানুষ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলার পর খুব দ্রুত নিহতের সংখ্যা বাড়ছিল। ঘটনার দুদিন পর নিহতের সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৩৫৯ জনে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিহতের সেই সংখ্যা প্রায় একশ কম বলে জানান। তার দেয়া হিসাব মতে, হামলায় মোট ২৫৩ জন নিহত হয়েছেন।
Advertisement
এসএ/পিআর