আগেকার প্রেমে যেমনটা হতো, একজন চিঠি দিয়ে অপেক্ষা করতো অন্যজনের প্রতুত্তরের অপেক্ষায়। তারপর উত্তর লিখে আবার সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে সেই চিঠি পৌঁছে দেয়া। আর এখন? এখন আর সেই দিন নেই। এখন চাইলেই প্রিয় মানুষটির কাছে পৌঁছে দেয়া যায় মনের কথাগুলো। কারণ আমাদের হাতের কাছেই আছে স্মার্টফোন নামক যন্ত্রটি।
Advertisement
আরও পড়ুন: ব্রেকআপের পরে নতুন সম্পর্কে জড়াচ্ছেন?
কিন্তু এখানে কিছু কথা আছে। হাতের কাছে ফোন থাকলেই কি আপনি প্রেমিককে যেকোনো সময় যেকোনো মেসেজ লিখে পাঠাতে পারেন? একদমই না। কারণ আপনাদের সম্পর্ক যতটাই বন্ধুত্বপূর্ণ হোক না কেন, দুজন আপনারা সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ। তাই যার যার নিজস্বতা বজায় রাখতে দেয়াটাও জরুরি। তাই প্রেমিকের কাছে মেসেজ পাঠালে তা এমনভাবে পাঠান যাতে সে বিরক্ত না হয়ে বরং আপনার প্রতি অনুরক্ত হন। জেনে নিন কোন বিষয়গুলো মেসেজে লিখবেন না-
সময়জ্ঞান: সবকিছুতেই টাইমিং জরুরি, ব্যতিক্রম নয় প্রেমের বার্তা লেখার ক্ষেত্রেও। যদি আপনার প্রেম দীর্ঘদিনের পুরোনো হয়, তবে আলাদা কথা। তা যদি না হয়,সদ্য দানা বাঁধা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটু সাবধান থাকাই ভালো, বিশেষ করে যারা কেবল সম্পর্কটা শুরু করতে যাচ্ছেন। যখন খুশি মনে হল আর মেসেজ পাঠিয়ে দিলেন, এমনটা করবেন না। অফিসের সময়ও বারবার মেসেজ করা একেবারেই চলবে না।
Advertisement
ইঙ্গিতপূর্ণ কথা: সদ্য প্রেমে জড়িয়েছেন? মেসেজে কোনোরকম ইঙ্গিতপূর্ণ কথা না বলাই ভালো। হালকা মজা করে মেসেজ দিতে পারেন, কিন্তু সীমা বুঝে। নিজেদের মধ্যে একটা পারস্পরিক কমফর্ট জোন গড়ে না ওঠা পর্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তার আদানপ্রদান করা একেবারেই ঠিক নয়।
ভুল ইমোজি: ভুল ইমোজি অনেক সময় ভুল বার্তা পৌঁছে দিতে পারে। তাই প্রথমে কোন ইমোজির অর্থ কী, সে ব্যাপারে নিজেকে শিক্ষিত করে তুলুন।
আরও পড়ুন: সংসারে শান্তি বজায় রাখার উপায়
ভুল বানান নয়: মেসেজে বারবার ভাষার ভুল বা বানান ভুল হলে উলটোদিকের মানুষটির মনে আপনার সম্পর্কে ভুল ধারণা জন্মাতে পারে। তাই মেসেজ লিখে সেন্ড বোতাম টেপার আগে একবার চোখ বুলিয়ে নিন।
Advertisement
এইচএন/এমএস