নওগাঁ শহরে হঠাৎ করে ব্যাটারিচালিত ভ্যান এবং অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন চালকরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের নওজোয়ান মাঠের পাশে অবস্থিত রিকশা-ভ্যান শ্রমিক সমিতির অফিসে শ্রমিকরা অবস্থান নেয়। রিকশা-ভ্যান সমিতি থেকে জানা যায়, পৌরসভা এলাকায় প্রায় দুই হাজার ৫০০টির মতো ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান আছে। সমিতিতে ভর্তি ফি ৫০টাকা, মাসিক কল্যাণ তহবিলে ৪০টাকা, পৌর লাইসেন্স ফি ৩০০টাকা দিতে হয়। এছাড়া একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানের ব্যাটারি ফুলচার্জ হতে প্রায় ২ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়। যার মূল্য প্রায় ২০টাকা এবং ওই চার্জে ২দিন পর্যন্ত রিকশা-ভ্যান চালানো যায়। ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক বাবু জাগো নিউজকে জানান, তিনি ভাড়ায় রিকশা নিয়েছেন। মালিককে প্রতিদিন ২৫০ টাকা দিতে হয়। প্রতিদিন যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবার নিয়ে কোনো রকম দিন চলে যায়। যদি ব্যাটারিচালিত রিকশা শহরের ভিতর দিয়ে চালাতে না দেয় তাহলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে। আরেক রিকশা চালক বাচ্চু মিয়া জাগো নিউজকে জানান, তিনি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পুরাতন ব্যাটারিচালিত রিকশা কিনেছেন। যা আয় হয় কিস্তির জন্য কিছু টাকা রেখে বাজার খরচে তা শেষ হয়ে যায়। একদিন রিকশা চালানো বন্ধ থাকলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জাতীয় রিকশা-ভ্যান শ্রমিকলীগের সভাপতি আসাদ উল্লা খান মিঠু জাগো নিউজকে জানান, কোনো আলোচনা ছাড়াই নওগাঁ পৌরসভা এলাকায় যান চলাচল নির্ষেধ করা হয়েছে। পৌর এলাকায় অটোচার্জার চলাচল করলেও চার্জার রিকশা-ভ্যান বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। নওগাঁ পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক পিপিএম জাগো নিউজকে জানান, সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ একটা যান। মহাসড়কে নছিমন করিমন চলাচল যেমন নিষেধ তেমনি ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান চলাচল করা নিষেধ। এসএস/আরআইপি
Advertisement