প্রায় অর্ধযুগ পর অবশেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ক্রীড়া ফেডারেশন, হকির নির্বাচন। দুই পক্ষের অংশগ্রহণে জমজমাট এই নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ এবং আগ্রহের কমতি নেই। যদিও নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে হঠাৎ করে এনএসসি থেকে ভোট কেন্দ্র ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে সরিয়ে নেয়ার কারণে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে দু’পক্ষেরেই রয়েছেন অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।
Advertisement
এরই মধ্যে আজ সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে হকির বহুল আকাংখিত নির্বাচন। বাইরে শতশত উৎসুক মানুষ, ভেতরে গুমোট এক পরিবেশ। এরই মধ্যে ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে চলছে বাংলাদেশ হকি ফেডারশনের নিবর্বাচনের ভোট গ্রহণ। বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণের কার্যক্রম।
তবে, ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও সোয়া ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স এক পক্ষ, তথা রশিদ-সাঈদ পরিষদের দখলে বলা চলে। কারণ, এখনও পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে এক পক্ষের মানুষের উপস্থিতিই দেখা যাচ্ছে। তাদের প্রতিপক্ষ সাজেদ-সাদেক পরিষদের কোন প্রার্থী কিংবা সমথর্কে ভোটকেন্দ্রে সকাল সোয়া ১১টা পযর্ন্ত দেখা যায়নি।
রশিদ-সাঈদ পরিষদের অন্যতম সহসভাপতি প্রার্থী আবদুর রশিদ শিকদার অভিযোগ করেছেন, ‘প্রতিপক্ষ প্যানেল থেকে ভোটারদের মোবাইল নিয়ে ভোট দিতে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়েগ করা হচ্ছে। তারা চাচ্ছে, কেন্দ্রের বাইরে নিজেদের পক্ষের লোকজনকে জড়ো করে একসঙ্গে ভোটকেন্দ্রে আসতে।’
Advertisement
যদিও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটকেন্দ্রে মোবাইলসহ যে কোনো ইলেক্ট্রনি ডিভাইস, ব্যাগ এবং একসঙ্গে অনেক মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। মোটকথা একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির ২৮ পদে ৮৪ জন কাউন্সিলর ভোট প্রদান করছেন। প্রার্থী রয়েছেন মোট ৫৫ জন।
আরআই/আইএইচএস/এমকেএইচ