সাংবাদিক মাহফুজউল্লাকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।
Advertisement
দাফনের সময় মাহফুজউল্লাহ বড় ভাই মাহুববউল্লাহ, মাহফুজউল্লাহর স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ আত্মীয়স্বজনরা এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাহফুজউল্লাহের মরদেহ আনা হলে সাংবাদিকসহ রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবীরা ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
জাতীয় প্রেস ক্লাব, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, নোয়াখালী সাংবাদিক ফোরাম, জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্মচারী ইউনিয়ন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিএনপি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
Advertisement
এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসুর মাহুমদ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মোহাম্মদ শাহজাহান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজেডএম জাহিদ হোসেন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, নুর মোহাম্মদ খান, জহির উদ্দিন স্বপন, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জাফরুল্লাহ খান চৌধুরী লাহরী, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, বিকল্পধারার শমসের মবিন চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণফোরামের রফিকুল ইসলাম পথিক, নঈম জাহাঙ্গীর, ফকির আলমগীর প্রমুখ অংশ নেন।
সাংবাদিকদের মধ্যে সৈয়দ কামাল উদ্দিন, রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, রুহুল আমিন গাজী, এম এ আজিজ, সাইফুল আলম, কামাল উদ্দিন সবুজ, আবদুল হাই শিকদার, আবদুস শহিদ, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, শাহেদ চৌধুরী, মাইনুল আলম, কাদের গনি চৌধুরীদসহ শতাধিক সাংবাদিক জানাজায় অংশ নেন।
জানাজার আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রয়াত মাহফুজউল্লাহ একমাত্র ছেলে মোস্তফা হাবিব অন্তু, মাহফুজউল্লাহ বড় ভাই অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দুপুরে গ্রিন রোডের মসজিদে মাহফুজউল্লাহের প্রথম জানাজায় বিএনপির আবদুল আউয়াল মিন্টু, আবদুল কাইয়ুম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শায়রুল কবির খানসহ শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ স্থানীয়রা অংশ নেন।
Advertisement
শনিবার ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহফুজউল্লাহ। গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত তিন সপ্তাহ ব্যাংককের এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ৬৯ বছর বয়সী মাহফুজউল্লাহ গত ২ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। স্কয়ারে কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১১ এপ্রিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নিয়ে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
১ মে মিলাদ মাহফিল
পরিবারের পক্ষ থেকে মাহফুজউল্লাহ স্মরণে আগামী ১ মে বাদ আসর জাতীয় প্রেস ক্লাবে মিলাদ মাহফিল হবে। এতে সবাইকে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা।
কেএইচ/এনডিএস/পিআর