রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় মানসম্মত না হওয়ায় পাঁচ শতাধিক পানির জার ধ্বংস করা হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এই অভিযান চালানো হয়।
Advertisement
দুপুর সোয়া ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান পরিচালনাকারী কোনো কর্মকর্তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। এছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা এই অভিযান চালিছে তা-ও জানা যায়নি।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল জারগুলো ধ্বংস করেছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মধ্য বাড্ডার ইউলুপের পূর্ব দিকে রাস্তার একপাশে পিকআপভ্যানে প্রায় পাঁচশ’র মতো জার এলোমেলোভাবে রাখা। ধ্বংস করা জারের পানি রাস্তায় গড়িয়ে যাচ্ছে। রাস্তার অন্যপাশে দুই থেকে তিনটি ভ্যানে থাকা শতাধিক পানির জারও ধ্বংস করা হয়েছে। এসব পানির জারগুলোতে উৎপাদন সময়, মেয়াদ, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কোনো স্টিকার লাগানো নেই।
Advertisement
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে দু-তিনটি ভ্যানে জারের পানি নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেসময় বিএসটিআইয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি প্রতিনিধি দল তাদেরকে থামিয়ে পানির জারগুলো মানসম্মত কি না, তা যাচাই করে। জারগুলোতে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখসহ যাবতীয় তথ্য সংবলিত স্টিকার না থাকায় সেগুলো ধ্বংস করা হয়। একই সময় পিকআপভ্যানে থাকা প্রায় পাঁচশ জার মানসম্মত না হওয়ায় সেগুলোও ধ্বংস করে দেয় বিএসটিআইয়ের ওই প্রতিনিধি দল।
মামুন নামের পানির জারের ডিলার জাগো নিউজের কাছে দাবি করেন, তারা জানেন না কোন ধরনের পানির বোতল ব্যবহার করতে হবে। বোতলগুলো মানসম্মত করতে হলে কী কী করণীয়। বিএসটিআইসহ সরকারের এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে গেলেও সহযোগিতা পান না বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ওনারা যদি দেখায় দিত, এটা ফুড গ্রেড, এটা দিয়ে ব্যবসা কর। আমরা করতাম। আমাদের তো ঝামেলার দরকার নাই। একবার বলা হলো- সাদা বোতল ব্যবহার করতে, আমরা সাদা বোতল কিনলাম। বলা হলো- পিসি বোতল ব্যবহার করতে, কিনলাম। কিন্তু আজকে সাদা, পিসি, নীল সব বোতলই ধ্বংস করে দিলো। একেকটা পিসি বোতলের দাম সাড়ে ৮শ’ টাকা, সাদা বোতলের দাম ৩০০ টাকা। এত টাকা দিয়ে কেনা জিনিস হুটহাট নষ্ট করে দিলে আমরা ব্যবসা করমু ক্যামনে।’
আবু এন্টারপ্রাইজ, সাফিক এন্টারপ্রাইজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পানির জার কিনে ব্যবসা করা মামুন বলেন, ‘কতগুলো বোতল নষ্ট করে দিলো, এই ক্ষতি পোষাব কীভাবে, বুঝতে পারতেছি না।’
Advertisement
পিডি/এমবিআর/জেআইএম