রাইডশেয়ারিং কোম্পানি উবার ঢাকায় খাবার সরবরাহ সেবা চালু করছে। আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানীর গুলশান, বনানী ও বারিধারায় এই সেবা চালু হবে।
Advertisement
আজ রোববার গুলশানে অবস্থিত ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সেবা চালুর ঘোষণা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রাইডশেয়ারি কোম্পানি উবার ‘উবার ইটস’ অ্যাপের মাধ্যমে খাবার সরবরাহের কার্যক্রম চালাবে। আগামী ৩০ এপ্রিল দুপুর ১২টা থেকে উবার ইটস’র কার্যক্রম শুরু হবে।
উদ্বোধনী পর্যায়ে সুশি সামুরাই, পিৎজা গাই, চিজ, তেহরি এভিনিউ, সালাম’স কিচেন, সুলতান’স ডাইন, ম্যাডশেফ, চিলক্সসহ ১৫০টিরও বেশি রেস্টুরেন্ট পার্টনারদের সঙ্গে কাজ করবে উবার ইটস। প্রাথমিক পর্যায়ে গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার গ্রহকরা তাদের উবার ইটস অ্যাপের মাধ্যমে খাবার সরবরাহের সেবা পাবেন।
Advertisement
লঞ্চ অফার হিসেবে গ্রাহকরা প্রথম দুটি অর্ডারের ওপর ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। সেই সঙ্গে মাত্র ১ টাকা ডেলিভারি চার্জে পছন্দের খাবার উপভোগ করতে পারবেন। খাবারের বিল ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অথবা খাবার সরবরাহ করার পর নগদে পরিশোধ করা যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
লস এঞ্জেলসের একটি ছোট ডেলিভারি পাইলট হিসেবে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে উবার ইটস। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে টরেন্টোতে একটি স্বতন্ত্র অ্যাপ হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৩৫০টিরও বেশি শহরে এটির সেবা চালু রয়েছে।
উবার ইটস’র বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার লিড ভাবিক রাথোড় বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি উবারের প্রতিশ্রুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উবার ইটস বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। উবার যে প্রযুক্তির জন্য বহুল পরিচিত, তার সঙ্গে আমরা এমন একটি বাজার তৈরির চেষ্টা করছি যা আমাদের গ্রাহক, রেস্টুরেন্ট ও ডেলিভারি পার্টনারদের কাছে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রাহকরা যেন সহজেই মাত্র কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে তাদের পছন্দের খাবার অর্ডার করতে পারেন তা নিশ্চিত করবে আমাদের সার্ভিস। আর রেস্টুরেন্ট পার্টনারদের জন্য উবার ইটস শুধুমাত্র গ্রাহকদের কাছে তাদের খাবার পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমই নয়; বরং তথ্য ও দূরদর্শিতার সাহায্যে কীভাবে তাদের ব্যবসায়িক দক্ষতা উন্নত করতে পারেন-সেটারও অনন্য একটি মাধ্যম।’
Advertisement
ম্যাডশেফ ও চিজ পার্টনার লাবীব তরফদার বলেন, ‘ঢাকা শহরের সবাই খাবার সম্পর্কে উৎসাহী ও এটি মানুষে মানুষে যোগসূত্রতা স্থাপন করে। আমাদের বিশ্বাস ঢাকায় উবার ইটস আসার পর আমাদের মতো ব্যবসাগুলো প্রথাগত গণ্ডি অতিক্রম করে উচ্চতর দক্ষতা অর্জন করবে। পাশাপাশি আমাদের খাবারগুলো গ্রাহকদের কাছে উবার গতিতে ডেলিভারি দেয়া হবে।’
এমএএস/এসআর/আরআইপি