দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি, ফার্মাসিটিকেল, বা তাদের প্রতিনিধি কিংবা অন্যকোনো মাধ্যমে স্যাম্পল, ওষুধ, কলম, প্যাড বা কোনো প্রকার উপঢৌকন গ্রহণ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের নোটিশ হাসপাতালের গেটে সেঁটে দেয়া হয়েছে।
Advertisement
গত ১৯ এপ্রিল জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা বিষয়ে আলোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আজ রোববার থেকে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সকালে হাসাপাতাল থেকে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদেরকে ঘুরে যেতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপরে জানতে চাইলে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আমাদের হাসপাতালটিতে চিকিৎসকের স্বল্পতা রয়েছে। সময়ে অসময়ে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি, ফার্মাসিটিকেল বা তাদের প্রতিনিধি এসে ভিড় জমায়, চিকিৎসকদের প্রভাবিত করে প্রয়োজন ছাড়াও তাদের কোম্পানির ওষুধ লিখতে বাধ্য করে। এতে করে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। চিকিৎসকরা তাদের নৈতিকতা হারিয়ে ফেলে। তাই জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে চিকিৎসা সেবায় চিকিৎসকের নৈতিকতা বিষয়ে আলোচনা সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ কারণে নোটিশ দিয়ে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদেরকে স্যাম্পল, ওষুধ কিংবা উপহার নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা বেলা আড়াইটার পর শুধুমাত্র ওষুধের তথ্য সম্পর্কিত লিটারেচার/লিফলেট প্রদান করতে পারবেন।
Advertisement
এদিকে নরমাল ডেলিভারিসহ স্বাস্থ্যসেবা গ্রামীণ জনপদের দ্বোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে মানুষকে হাসপাতালমুখী ও ‘আপনার ডাক্তার’সহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্যসেবায় জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
তাই চিকিৎসকরা জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা বিষয়ে আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি, ফার্মাসিটিকেল বা তাদের প্রতিনিধি কিংবা অন্যকোনো মাধ্যমে স্যাম্পল, ওষুধ, কলম ও প্যাড উপহার সামগ্রী বা উপঢৌকন গ্রহণ করবেন না।
এমদাদুল হক মিলন/এফএ/জেআইএম
Advertisement