মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছিলেন একাদশে। জেতাতে পারতেন দলকেও। তার করা শেষ ওভারেই দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতে নেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের তরুণ শুভমান গিল। এরপর বেঞ্চে কাটালেন টানা ৮ ম্যাচ।
Advertisement
দলের দশম ম্যাচে সুযোগ পেলেন পুনরায়, পরিবর্তন এলো না ফলাফলে। তবু টিকে যান পরের ম্যাচের একাদশেও। কিন্তু যে লাউ সে কদু! এ ম্যাচে অবশ্য তার দায় নেই বললেই চলে। ভালো বোলিং করেন প্রথম তিন ওভারে। শেষ ওভারে যখন বল হাতে তুলে দেয়া হলো, বাকি তখন মাত্র ৪ রান। যা কিনা প্রথম বলেই নিয়ে নেন রাজস্থান রয়্যালসের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সাঞ্জু স্যামসন।
বলা হচ্ছিলো সাকিব আল হাসানের কথা। চলতি আইপিএলে যিনি এখনো পারেননি জয়ের মুখ দেখতে। প্রথম ম্যাচে কলকাতার কাছে হারের পর মাঝে ৮ ম্যাচে ৫টিতে জিতেছিল হায়দরাবাদ। সেসব ম্যাচে ছিলেন না সাকিব।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে দশম ম্যাচ দিয়ে দলে ফেরেন সাকিব। সে ম্যাচে তিনি নিজে কিপটে বোলিং করলেও দল পায়নি জয়। আর শনিবার রাতে সাকিব ও তার হায়দরাবাদ সবশেষ হারলো রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে। ম্যাচে সাকিবের অবদান ১০ বলে ৯ রান এবং বল হাতে ৩.১ ওভারে ২৬ রানে ১ উইকেট।
Advertisement
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৬০ রানের মামুলি সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল হায়দরাবাদ। ঘরের মাঠে এ লক্ষ্য পেরিয়ে যেতে বেগ পেতে হয়নি রাজস্থানকে। সাঞ্জু স্যামসন, লিয়াম লিভিংস্টোনদের ব্যাটে চড়ে ৭ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।
রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৮ রান যোগ করেন অজিঙ্কা রাহানে এবং লিভিংস্টোন। দশম ওভারে জুটি ভাঙেন রশিদ খান। লিভিংস্টোন ফেরেন ২৬ বলে ৪৪ রান করে। পরে ১২তম ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ বানিয়ে রাহানের (৩৪ বলে ৩৯) উইকেট তুলে নেন সাকিব।
তবু জয়ের জন্য কোনো চিন্তা করতে হয়নি রাজস্থানকে। তিন নম্বরে নেমে সাঞ্জু স্যামসন ৩২ বলে অপরাজিত ৪৮ এবং স্টিভেন স্মিথ ১৬ বলে ২২ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে সাকিব যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখনো বাকি ছিলো পুরো ৫টি ওভার, হাতে ছিলো ৭টি উইকেট। দলের সংগ্রহ তখন ১২১। সে অবস্থা থেকে তার কাছে দলের চাহিদা ছিলো ঝড়ো ক্যামিও খেলে সংগ্রহটাকে বড় করে তোলার। কিন্তু সে কাজে পুরোপুরি ব্যর্থ হন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
Advertisement
যে কারণে শেষ পাঁচ ওভারে প্রত্যাশামাফিক রান পায়নি হায়দরাবাদ। সাকিব সাজঘরে ফিরে যান ১৯তম ওভারের প্রথম বলে, ১০ বল খেলে করেন মাত্র ৯ রান। শেষ ওভারে রশিদ খানের একটি করে ছয়-চারের মারে শেষপর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের সংগ্রহ পায় হায়দরাবাদ।
অথচ টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল হায়দরাবাদ। দলীয় ২৮ রানের মাথায় কেন উইলিয়ামসন ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার এবং মনিশ পান্ডে।
মাত্র ২৭ বলে অর্ধশত রানের মাইলফলকে পৌঁছে যান মনিশ। ধীর ইনিংস খেলে ৩২ বলে ৩৭ রান করেন ওয়ার্নার। পরে বেশিদূর যেতে পারেননি মনিশ। ৯ চারের মারে ৩৬ বলে ৬১ রান করে আউট হন ইনিংসের ১৫তম ওভারের শেষ বলে।
এরপর শুধুই ব্যর্থতার গল্প। বিজয় শঙ্কর ১০ বলে ৮, সাকিব আল হাসান ১০ বলে ৯, দীপক হুদা ১ বলে ০ এবং ঋদ্ধিমান সাহা করেন ৫ বলে ৫ রান। এদের ভিড়ে শেষদিকে ৮ বলে ১৭ রানের ক্যামিও খেলেন রশিদ খান।
রাজস্থানের পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন ভরুন অরুন, শ্রেয়াস গোপাল, জয়দেব উনাদকাত এবং ওসানে থমাস।
এসএএস/জেআইএম