দেশজুড়ে

তীব্র গরমে মাটিতে শুয়ে পড়লেন কৃষক

তীব্র গরম আর তাপদাহে নাজেহাল ঝিনাইদহের মানুষ। বৈশাখের শুরুতেই তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। দেশের প্রায় সব অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ।

Advertisement

এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ঝিনাইদহে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন নাজেহাল। প্রচণ্ড রোদে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। একটু স্বস্তি ও শীতল পরিবেশের জন্য গাছের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন কৃষকরা। সেই সঙ্গে অনেক কৃষককে গরমে মাটিতে শুয়ে যেতে দেখা গেছে।

এদিকে, গরম বাড়তেই ঝিনাইদহ শহরের রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকানগুলোতে চলছে ঠান্ডা শরবত ও আখের রস বেচাকেনা। গরমে তৃষ্ণা মেঠাতে ছোটবড় সবাই শরবত ও কোমল পানীয় গ্রহণ করছেন।

শহরের এইচএসএস সড়কের পাশে দেখা যায়, একটি লেবুর শরবতের দোকান ঘিরে মানুষের জটলা। ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করতে করতে শহরের কাঞ্চননগর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাজমুল হাসান বলেন, গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতেই প্রায় প্রতিদিন বন্ধুবান্ধব নিয়ে লেবুর শরবত পান করি।

Advertisement

এদিকে, শহরের পায়রা চত্বরে চলছে বরফের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার শরবত বিক্রি। নাসির উদ্দিন নামের এক রিকশাচালক বলেন, গরম আর রোদের কারণে রিকশা চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে কোনো যাত্রীও মিলছে না। তারপরও পেটের দায়ে রিকশা চালাচ্ছি। গরমে এই ঠান্ডা শরবত পান করলে অনেক ভালো লাগে।

পৌর এলাকার উদয়পুর গ্রামে যেতেই দেখা মিলল দুই কৃষক জাম গাছের নিচে মাটিতে শুয়ে আছেন। তাদের মধ্যে কৃষক মো. হাসেম বিশ্বাস বলেন, বাবা প্রচণ্ড গরমের মধ্যে মাঠে কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। এজন্য দৌড়ে এসে জাম গাছের নিচে মাটিতে শুয়ে পড়েছি। মাটিতে শরীরটা একটু ঠান্ডা করে নিচ্ছি।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অপুর্ব কুমার জাগো নিউজকে বলেন, ফুটপাতের শরবতে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা মানব দেহে রোগব্যাধির সংক্রমণ ছড়ায়। এছাড়া যে পানি দিয়ে বরফ তৈরি হয় তা দূষিত। শুধুমাত্র ডাবের পানি ছাড়া বাইরের তেমন কোন পানীয় নিরাপদ নয়। সাময়িক শারীরিক প্রশান্তির জন্য এই শরবত মানুষ গ্রহণ করলেও ক্ষতিকর। বরফ দিয়ে তৈরি রস পান করা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর।

তিনি আরও বলেন, গরমের তীব্রতার কারণে হিটস্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সুস্থ থাকতে দিনে অন্তত ২-৩ বার গোসল করা ও প্রচুর পানি পান ছাড়াও রোদে কম ঘোরাঘুরি করা উচিৎ। ডাব ও স্যালাইনযুক্ত পানি পান করা মানব দেহের জন্য এসময়ে সবচেয়ে উপকারী ও নিরাপদ।

Advertisement

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এএম/এমএস