জাতীয়

‘নিরাপদ জীবন নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজের সকল ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’ রোববার জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে শনিবার দেয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব বলেন।

Advertisement

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে চাই। এজন্য সমাজে প্রতিটি ক্ষেত্রে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের সমৃদ্ধ ও নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে এবং অর্থনৈতিক-সামাজিক ও ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠায় সবধরনের ভয়-ভীতি ও বৈষম্য দূর করে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি’র অন্যতম লক্ষ্য ‘‘ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার’’ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন ও নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে দেশের কোনো নাগরিক যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা ‘‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’’ প্রণয়ন করেছি।’

Advertisement

অসহায়, দরিদ্র ও নিঃস্ব জনগণকে বিনা খরচে সরকারি আইন সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জেলা লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ ‘‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল হিসেবে মামলার পক্ষসমূহের মধ্যে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করছে’’ যা সারাদেশের আদালতসমূহে মামলাজট হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ও সুবিচার নিশ্চিত করা। তিনি ১৯৭২ সালে সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং সব নাগরিকের আইনের আশ্রয় পাওয়ার সমাধিকার নিশ্চিত করেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশে আইনের শাসন ও মৌলিক অধিকার ভূলণ্ঠিত হয়।’ ৭৫ পরবর্তী বিএনপি-জামাত জোট সরকার হত্যা, দমন, নির্যাতন ও নিপীড়নের রাজত্ব কায়েম করে। সুবিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়। দেশের জনগণ আইনগত সহায়তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।’

বাণীতে তিনি প্রতি বছরের মতো এবারও দেশব্যাপী ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০১৯’ পালন করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ এবং দিবসটির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Advertisement

এফএইচএস/এমআরএম/এমকেএইচ