বর্তমান সরকার সমালোচকদের ভয় পায় না উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সমালোচকদের আমরা বন্ধু মনে করি। শেখ হাসিনা সরকার সমালোচকদের বন্ধু মনে করে।
Advertisement
তবে সমালোচনার কিছু বিধিবিধান, নিয়ম-কানুন পণ্ডিত সমাজে স্বীকৃত। সেই বিধিবিধান, নিয়ম-কানুন পণ্ডিত সমাজ স্বীকার করবেন এবং তাদের সমালোচনায় এটা কাজে লাগাবেন’- যোগ করেন মন্ত্রী।
শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘ফোর ইয়ার্স অব এসডিজিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সমালোচনার নতুন ধারার সূচনা হয়েছে উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, নতুন এক ধারা শুরু হয়েছে। প্রতি বছর প্রতিবেদন বের করে নানা বিষয়ে। অদ্ভূত, বিস্ময়কর বিষয়েও। পাসপোর্টের মর্যাদা, কোন দেশের পাসপোর্টের কেমন মর্যাদা তার ওপরেও একটা বার্ষিক রিপোর্ট বের হচ্ছে! খুঁজে খুঁজে বিষয় বের করছে, লিখছেও।
Advertisement
তিনি বলেন, আমার ভয় কোথায়, কেন আমি এ কথা বললাম? আমি জানি, আমি প্রতিবন্ধী। আমি জানি, আমি দরিদ্র। আমি জানি, আমার আয় কম। এই টেবিলের নিচে আমার জায়গা হবে, এটা পূর্ব নির্ধারিত। কেন বারবার আপনি আমাকে আঙুল দেখিয়ে বলছেন, তুই দরিদ্র? বারবার আঙুল দেখিয়ে বলছেন, তোর রাস্তা-ঘাট খারাপ। কেন বারবার আঙুল দেখিয়ে বলতে হবে, তোমার এটা সমস্যা আছে।
সভ্য সমাজে এসব বলা হয় না বলেও মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, এগুলো স্বীকার করি আমরা। কিন্তু এসব সভ্য সমাজে বলা হয় না। আমার বন্ধু যখন পরীক্ষায় ফেল করত, তখন আমার শিক্ষকরা বলতেন না, তুই বারবার ফেল করিস কেন? বরং ক্লাসের পর আরও এক ঘণ্টা তাকে বেশি পড়াতেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও এর কোর গ্রুপ সদস্য রাশেদা কে চৌধুরী, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ড. ফাহমিদা খাতুন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ইউএন রেসিডিন্ট কো-অর্ডিনেটর ও রিপ্রেজেন্টেটিভ মিয়া সেপ্পো প্রমুখ।
পিডি/এমএসএইচ/এমএস
Advertisement