রাজনীতি

খালেদার জামিনে বিরোধিতা না করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মওদুদের আর্জি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আজকে না হোক কালকে হবে এবং সম্মানের সাথেই তার মুক্তি হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- প্যারোলের আবেদন করলে মুক্তি বিবেচনা করা যায়। আমরা বলতে চাই, যদি প্যারোলের কথাই বলেন, তাহলে আপনার আইনজীবীদের বলে দেন তারা যেন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা না করে। তাহলে তো তিনি জামিনেই মুক্তি পেতে পারেন। প্যারোলের কোনো প্রয়োজন হবে না।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মওদুদ বলেন, আজকে এটা স্পষ্ট যে, এই সরকার চায় না বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হোক। কারণ তারা জানে বেগম জিয়ার মুক্তি মানে গণতন্ত্রের মুক্তি, দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে এবং একদলীয় শাসনের অবসান ঘটবে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে আসবে।

Advertisement

তিনি বলেন, সরকার প্রধানসহ তাদের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময় বলেছেন- বিএনপি থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা যেন সংসদে ফিরে আসেন। তারা সংসদে যাক আর না যাক, সংসদের বৈধতা কখনই অর্জন করা সম্ভবপর হবে না।

মওদুদ বলেন, জাহিদুর রহমান সংসদে গিয়েছেন, যদি আরও দু-একজন যান সরকারের কী সুবিধা হবে জানি না। তবে দেশের মানুষ জানবে এর কারণে এই সংসদের বৈধতা কখনই আসবে না, আসতে পারে না। কারণ এই সরকার জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত হয়নি। সংসদে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন কোনো ক্রমেই এই সংসদকে বৈধতা দেয় না এবং দিতে পারে না। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের কারণে দেশে একটা শূন্যতা বিরাজ করছে। এই শূন্যতা সরকারের জন্য ভয়ঙ্কর, দেশের মানুষের জন্যও ভয়ঙ্কর।

তিনি বলেন, আমি বলব- রাজনীতিতে কখনই শূন্যতা বিরাজ করে না। সুতরাং অবিলম্বে একটা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। এই নির্বাচন দিলেই এই শূন্যতা থাকবে না। আপনারা যে ভয়ঙ্কর অবস্থায় আছেন তা থেকে মুক্তি পাবেন।

Advertisement

মওদুদ বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্র চলবে কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্র এখন পর্যন্ত সফল হয় নাই। এটা সম্ভবপর হবে না, কারণ গত ৫ বছরে লাখ লাখ মানুষ যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের যে ক্ষতি হয়েছে। যে মা-বোনরা তাদের সন্তানদের হারিয়েছেন এবং ২৬ লাখ মামলা হয়েছে। এদের ওপর যেভাবে অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে তারা কোনোদিনও জাতীয়তাবাদী দলকে ভুলতে পারবে না।

কেএইচ/এমবিআর/জেআইএম