মানুষের গলার স্বর নকল করতে পারার জন্য টিয়া পাখির কদর বিশ্ব জুড়ে। কথা বলার পাশাপাশি তাদের বুদ্ধিমত্তাও কম নয়। কিন্তু টিয়া পাখির এই বুদ্ধিমত্তা ও কথা বলার ক্ষমতা যদি অপরাধ জগতের লোকজন নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করা হয় তাহলে তাকেও সমানভাবে দোষী বলা যায়?
Advertisement
প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পুরো ঘটনা জানতে হবে। কেননা সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলের পিয়াউই প্রদেশে। ঘটনা দেখে চমকে গেছেন দেশটির পুলিশ কর্মকর্তারাও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পিয়াউই প্রদেশের এক কোকেন মাফিয়া তার বাড়িতে একটি টিয়া পাখি পোষেন। জানালাহীন ওই বাড়ির সামনে পাখিটি রাখা হতো। বাড়িতে পুলিশ এলেই টিয়া পাখিটি বলে উঠতো, ‘মামেয় পুলিশিয়া। এভাবেই বাড়িতে যে পুলিশ এসেছে সেই সংকেত দিত পাখিটি।
আরও পড়ুন > ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করলেন শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান
Advertisement
সম্প্রতি ওই কোকেন মাফিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় দেশটির পুলিশ। সেদিনও পূর্বের মতোই ‘মামেয় পুলিশিয়া’ বলে চিৎকার শুরু করে টিয়াটি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ ওই বাড়িতে থেকে এক ব্যক্তি ও এক তরুণীকে গ্রেফতার করেছে। সঙ্গে আটক করা হয়েছে টিয়া পাখিটিকেও।
পুলিশের একজনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সেই বাড়িতে অভিযানে যেতেই টিয়া পাখিটি চিৎকার শুরু করে।’ এমন কাজের জন্য টিয়া পাখিটিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পর একটি কথা কিংবা শব্দও করেনি টিয়াটি। সেই পুলিশ কর্মকর্তা জানালেন সারাক্ষণ পাখিটি চুপ করে বসে ছিল। টিয়া পাখিটিকে আপাতত একটি স্থানীয় চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার
Advertisement
এসএ/জেআইএম