ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ৩২০ জনের মতো মাদক ব্যবসায়ী বিভিন্ন সময় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য মাদকের করাল গ্রাস থেকে এখনো মুক্তি মিলেনি।
Advertisement
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত নিরাপদ সড়কের দাবি, মাদক ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে অভিভাবক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মেনন বলেন, মাদকের সঙ্গে এখনো সমাজের ওপর তলার এক শ্রেণির মানুষ জড়িত। যারা মাদককে উৎসাহিত করছেন। রাজনৈতিক ও সমাজ কর্মী, প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরাও এর সঙ্গে জড়িত। আমরা এ বিষয়ে পুলিশের ঊধ্র্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেছি। কিন্তু একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই সাধারণ কিছু মানুষ ছাড়া অন্য কাউকে মাদক থেকে নিবৃত রাখতে পারিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সত্ত্বেও আমরা সড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে পারিনি। আমরা নিয়ম মানি না। এ কারণে হাজারও আইন করলেও সড়ক নিরাপদ করতে পারবো না।
Advertisement
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে থাকি তাহলে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে।
জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ দেশ না হলে নিরাপদ সড়ক হবে না। স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা এখনো মাথা তুলে কথা বলছে। বিএনপি এ ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা। পথিক তুমি কি পথ হারিয়েছো? বিএনপিকেও বলতে ইচ্ছে করে বিএনপি কি পথ হারিয়েছে? কেন তোমরা সাফল্য পছন্দ করো না।
গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাহাদাত হোসেন বলেন, জঙ্গিবাদকে বিদায় করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল সংগ্রাম। আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাভূত করেছি। জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখন নিরাপদ সড়কের জন্য সংগ্রাম চলছে।
প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সব মানুষের উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে মাদক ও সড়ক দুর্ঘটনা। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারেন জনপ্রতিনিধিরা। সচেতনতার বিকল্প নেই।
Advertisement
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলিপ রায়, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মনসুর আহমেদ, সহসভাপতি আবুল বাশার।
জেইউ/এএইচ/এমকেএইচ