অগ্নিদ্বগ্ধ ৭ বছর বয়সী শিশু মারিয়ার বাঁচার আকুতি দেখে কাঁদছে এলাকার মানুষও। আগুনে ঝলসে গেছে তার পুরো শরীর। তার শরীরের দগ্ধ স্থান ও যন্ত্রণা দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠবে। এ অবস্থায় বাড়িতেই দিন কাটছে মারিয়ার।
Advertisement
বাড়ির বারান্দায় একটি মশারির ভেতরে রাখা হয়েছে মারিয়াকে। সেখানে শুয়েই বাঁচার আকুতি মিনতি করছে সে। যশোরের ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের নায়ড়া গ্রামের ভাটার ট্রলিচালক রুবেল হোসেনের মেয়ে মারিয়া। সে স্থানীয় নায়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
গত বছরের ডিসেম্বরে শীতের আগুন পোহাতে গিয়ে ঝলসে যায় মারিয়ার শরীর। ওই সময় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে যশোরের একটি ক্লিনিকেও ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তুু অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানকার প্রতিদিনের খরচ জোগাতে না পেরে কিছুদিন থেকেই মারিয়াকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন রুবেল।
বর্তমানে যশোর কুইন্স হাসপাতালের এক চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতেই চলছে মারিয়ার চিকিৎসা। তাকে ক্লিনিকে ভর্তি করার কথা বললেও টাকার অভাবে পারছেন না তার পরিবার।
Advertisement
মারিয়ার বাবা রুবেল হোসেন বলেন, মেয়ের চিকিৎসা করতে গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছি। আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীর কাছে টাকা নিয়ে মেয়ের চিকিৎসা করেছি। আর পারছি না। স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছেও সাহায্য চেয়েছি। কিন্তু আজও পাইনি।
শিশু মারিয়া জানায়, আমাকে বাঁচান। বাবা আমার জন্য গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছে। এখন সংসার চলতে কষ্ট হচ্ছে। আমার চিকিৎসা করাবে কীভাবে?
মারিয়ার মা মমতাজ বেগম বলেন, আমার স্বামীর শরীর ভালো থাকলে সংসার চলে, তা না হলে চলে না। আপনারা আমার সন্তানকে বাঁচান। আমার সন্তানের পাশে দাঁড়ান। গত ৪ মাস ভালো করে সে ঘুমাতে পারছে না। আমি মা হয়ে তার কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না।
প্রতিবেশী অনেকে জানায়, মারিয়ার কষ্ট দেখে সহ্য করতে পারছি না। তাদের পরিবারের অবস্থা করুণ। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি তাকে সহযোগিতা করার। সরকারিভাবে কেউ পাশে দাঁড়ালে হয়তো সুস্থ হবে মেয়েটি।
Advertisement
মারিয়ার বিষয়ে আরও জানতে কথা বলতে পারেন তার বাবা রুবেল হোসেনের সঙ্গে। মোবাইল : ০১৭৩৩-৪৫৭৩৩১।
জামাল হোসেন/এমএএস/এমকেএইচ