অর্থনীতি

সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে ডিএসই

দরপতনের মধ্য দিয়ে আরও একটি সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে এক শতাংশের ওপরে। পতন হয়েছে ৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ফলে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই।

Advertisement

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে মাত্র ৯৬টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বাড়ে। অপরদিকে দাম কমে ২২৪টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ২৮টির দাম।

সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের এ দরপতনের কারণে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৯৫ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ৫৫ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৪ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

Advertisement

অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমে ৩৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৫ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা দশমিক ২৮ শতাংশ।

আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১২ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৫ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৫ শতাংশ।

এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয় ৩৪১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩০৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বাড়ে ৩৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা বা ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ২৩২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ১৩৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বা ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

Advertisement

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৪ দশমিক ৪৬ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২ দশমিক ৯০ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ১ দশমিক ২৯ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় ফরচুন সুজের শেয়ার। কোম্পানিটির ১০০ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুন্নু সিরামিকের শেয়ার লেনদেন হয় ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ৬৪ কোটি ৭৫ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন কোম্পানির।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, ন্যাশনাল টিউবস, ব্র্যাক ব্যাংক, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, এস্কয়ার নিট কম্পোজিট এবং ফাইন ফুডস।

এমএএস/জেডএ/এমকেএইচ