রাজনীতি

ক্ষমতাসীনরা উল্টো কিছু করলে থামাতে হবে : ড. কামাল

জনগণের উদ্দেশ্যে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ক্ষমতার উৎস হলো জনগণ, আর কেউ না। সুতরাং আপনাদের দেখতে হবে, যারা ক্ষমতায় তারা কি দেশের স্বার্থে নাকি নিজের স্বার্থে কাজ করছেন। নাকি অন্য কিছু করছেন। উল্টো কিছু করলে সংগঠিত হয়ে তাদের থামাতে হবে। কারণ, জনগণ গণতন্ত্রের পাহারাদার। আর এই নাগরিকরা যদি দায়িত্ব পালন না করেন তাহলে গণতন্ত্র স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হয়।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে মহানগর নাট্যমঞ্চে গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলে এসব কথা বলেন তিনি।

দলীয় নেতাকর্মীদের নিরাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা জনগণের হয়ে যে রায়টা দিলেন, আমি মনে করি- সেটা চিরস্মরণীয় থাকবে। তিনি ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখে গেলেন। এ কথা শুনে যে আপনারা যে করতালি দিলেন, এটা উনাকে জানানো হবে।

তিনি বলেন, আমরা আজকে বলি যে, স্বৈরশাসনের চিত্র দেখা যাচ্ছে। কিন্তু নিরাশা হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা দেখেছি, শাসকগোষ্ঠী অনেক সময় স্বৈরাচারের দিকে অগ্রসর হয়ে স্বৈরাচার হয়ে যায়। কিন্তু এ দেশে মানুষ কখনও স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নেয়নি এবং নেবে না। এ দেশের মালিক আপনারা।

Advertisement

ড. কামাল আরও বলেন, মালিক হিসেবে আপনাদের দেখতে হবে যে, সংবিধানে যা লেখা আছে- সে অনুযায়ী ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে কি না। আর প্রশাসন ও পুলিশের যে দায়িত্ব-কর্তব্য সেগুলোও সংবিধানে স্পষ্টভাবে লেখা আছে। পুলিশ এ দেশের মালিক না, তারা সেবক। সুতরাং সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবেন। তাই আপনারা সতর্ক থাকবেন, যাতে পুলিশ তাদের দায়িত্বের বাইরে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যায় ও অত্যাচার করতে না পারে।

কাউন্সিলের শুরুতে জাতীয় সংগীত বাজিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেনসহ গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্যরা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রথমে গণফোরাম নেতা জগলুল হায়দায় আফ্রিক শোক প্রস্তাব পাঠ করেন।

কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, মোকাব্বির খান, রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/জেডএ/এমএস

Advertisement