স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, পাঁচ বছর মেয়াদ পূরণ শেষে কোনো তত্ত্বাবধায়ক নয়, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই ২০১৯ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জ্বালাও পোড়াও এর রাজনীতির কারণে বিএনপি এখন ছিন্নভিন্ন জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। বুধবার বিকেলে স্থানীয় মুক্তির সোপান চত্বরে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা কৃষকলীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী এর কোনো বিকল্প নেই। সেই নির্বাচনের জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ১৫ আগস্ট যিনি ভুয়া জন্মদিনের কেক কাটেন তার মুখে ঐক্যের কথা মানায় না। জেলা কৃষকলীগের সভাপতি খন্দকার রফি আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। অন্যান্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, সিরাজুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা জান্নাত আরা হেনরী প্রমুখ। জনসভার শুরুতেই শোকাবহ ১৫ আগস্ট নৃশংস ঘটনার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ সেদিনের ঘটনায় শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। মোহাম্মদ নাসিম আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ একটি বিশাল পরিবার। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এই পরিবারের প্রধান। এ দলে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে অন্তর্কলহ এবং বিশৃংখলা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চায়। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে জনগণের কাছে খাটো করতে চায়। শেখ হাসিনার কোনো বদনাম হোক তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যাবে না। এ ব্যাপারে দলের প্রতিটি নেতা কর্মীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।বাদল ভৌমিক/এমজেড/আরআইপি
Advertisement