দুদিন আগে শেষ হলো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন বড় তারকা এবারের লিগে অংশ না নিলেও মাশরাফি বিন মর্তুজা ছিলেন ব্যতিক্রম। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে রাখতে লিগে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে সবগুলো ম্যাচই খেলেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। দল শিরোপাও জিতেছে।
Advertisement
এবার বিশ্বকাপ ক্যাম্পে যোগ দিতে হবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। তবে মাঠে ব্যস্ত সময় কাটানোর পর আবাহনীর হয়ে খেলা জাতীয় দলের ৭ ক্রিকেটারসহ যারা মৌসুমের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত খেলেছেন, তাদের জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে দুইদিনের ছুটি দেয়া হয়েছে।
ছুটি পেয়েই নড়াইলের পথে ছুটেছেন মাশরাফি। সবাই হয়তো ভাবছেন, সামনে ব্যস্ত সময় বিশ্রামের ফুসরত মিলবে না। মাশরাফি বোধ হয় এই ছুটিটা শুধু পরিবারকে সময় দেয়ার কাজেই লাগাচ্ছেন। কিন্তু না।
বিশ্রামের সময়টায় আসলে বিশ্রাম মিলছে না মাশরাফির। তিনি যে এখন শুধু খেলোয়াড় নন, নড়াইল-২ আসনের এমপি। ছুটি কাটাতে গিয়েও তাই এলাকার উন্নয়ন কাজের তদারকিতে ব্যস্ত বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। মাশরাফি জানান, এলাকায় যে উন্নয়ন কাজ হবে, সেগুলো তিনি নিজেই তদারকি করবেন।
Advertisement
এলাকায় কোনো ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম হতে দেয়া যাবে না উল্লেখ করে মাশরাফি বলেন, 'সম্প্রতি সদর থানার কোমখালী গ্রামের এক শিশু কন্যার পা কেটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসব সন্ত্রাসীরা যেন কোনো প্রকার ছাড় না পায়। চিহ্নিত দুস্কৃতিকারীরা ছাড় পেলে সমাজ এগোবে কিভাবে?'
নড়াইলকে মডেল জেলা ও সুন্দর বাসযোগ্য 'ক্লিন নড়াইল গ্রিন নড়াইল' গড়তে স্থানীয় প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন মাশরাফি। এ সময় তিনি সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করার ফাঁকেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে নিয়েছেন মাশরাফি। নড়াইল জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সুধীজনের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি সকলের কাছে দোয়া চান।
এর আগে ঘন্টাব্যাপী মতবিনিময় সভায় বক্তব্যকালে মাশরাফি বলেন, ‘নড়াইলের উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান করেছি। আমরা একটি পরিকল্পিত মডেল নড়াইল জেলা গড়তে চাই। ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। নড়াইল পৌরসভার উন্নয়নে ইতোমধ্যে পাঁচ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনরোধে কাজ করে চলেছি।'
Advertisement
দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে স্বচ্ছতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান মাশরাফি। ব্যক্তিগত সহযোগিতা বা চাকুরির তদবিরের জন্য না এসে এলাকার উন্নয়নের জন্য তার কাছে আসার পরামর্শও দিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের এমপি।
আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত মাশরাফি নড়াইলেই অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। তারপর জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন।
হাফিজুল নিলু/এমএমআর/জেআইএম