দেশজুড়ে

অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কিশোরীর শ্লীলতাহানি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি।

Advertisement

গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) উপজেলার ধুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী বিকেলে বিদ্যালয় থেকে বাড়ির ফেরার পথে তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটানো হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার পাচতেরিলযা গ্রামের ছানোয়ারের ছেলে শান্ত (১৯), একই গ্রামের রুকনুজ্জামানের ছেলে রবিন (১৫) ও গোপালপুর উপজেলার পিচুরিয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে আকাশ (১৬)। এ ঘটনায় রবিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা জহির উদ্দিন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে শান্ত নামের এক বখাটে বেশ কিছুদিন ধরে প্রেম প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। শান্ত ছাড়াও রবিন ও আকাশ তাকে প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করতো। মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীর পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করা হয়। পরে বাড়িতে গিয়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

ধুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুল ইসলাম জানান, এর আগেও ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো বখাটেরা। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ে এসে বখাটেদের অভিভাবকরা ক্ষমা চাওয়ায় সালিশ মিমাংসার মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পুনরায় তারাই ওই ছাত্রীকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে। এতে ওই ছাত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে।

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তৌফিক এলাহি জানান, ওই স্কুলছাত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার মনে ভয় কাজ করছে। এ কারণে মাঝে মাঝে সে বিলাপ করছে। বর্তমানে তার অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে দু’একদিন চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির বিষয়টা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিজয় দেবনাথ জানান, থানায় অভিযোগ দায়েরের পর রবিন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/জেআইএম

Advertisement