শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হন পাঁচ শতাধিক মানুষ। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস।
Advertisement
গত মঙ্গলবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে আইএস, যেখানে জাহরান হাশিম নামে এক ব্যক্তিকে দেখা গেছে।
শ্রীলঙ্কার সরকারও ইস্টার সানডের দিন পরিচালিত হামলার সঙ্গে হাশিম ও তার প্রতিষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত’ বা এনটিজে সদস্যরা জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে। যদিও ইস্টার সানডেতে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় বড় ধরনের গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছে দেশটির সরকার।
‘মুসলিম কাউন্সিল অব শ্রীলঙ্কা’-র ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিলমি আহামেদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলছিলেন, ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার কাত্তানকুডি এলাকায় এনটিজে নামে সংগঠনটি গড়ে তোলেন জাহরান হাশিম। ওই এলাকার একটি ইসলামি কলেজে হাশিম ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি হাশিম।
Advertisement
শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এই কাত্তানকুডি একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা।
‘কাত্তানকুডির তাওহিদ মসজিদের সাধারণ মুসলমানরা হাশিমকে বিপজ্জনক মনে করতেন। একবার হাশিম তলোয়ার হাতে বের হয়ে মুসলমানদের হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিলেন’,- জানান হিলমি আহামেদ।
তিনি বলেন, হাশিম সম্পর্কে তারা প্রায় তিন বছর আগে পুলিশকে সতর্ক করেছিলেন। ‘হাশিম আগে একা ছিলেন। পরবর্তীতে কোরআন শিক্ষার নামে তরুণ প্রজন্মকে মৌলবাদের পথে পরিচালিত করেন।
ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে হাশিমের অনেক অনুসারী রয়েছে।
Advertisement
ওই হামলার সময় হাশিম নিজে আত্মঘাতী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফলে তিনি এখনও বেঁচে আছেন, নাকি মারা গেছেন, তা নিশ্চিত নয়।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে
জেডএ/জেআইএম