শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে বোমা হামলার দিন জিয়ন গির্জা ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। ঠিক ওই সময় এক ব্যক্তি পিঠে ভারী ব্যাগ নিয়ে গির্জায় প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি ভেতরে ঢুকতে পারলে বহু মানুষের জীবনহানি হতো ওই গির্জায়। আর যার বাধার কারণে ওই ব্যক্তি গির্জায় ঢুকতে পারেননি তার নাম রামেশ রাজু। পরিবারের দাবি, তার কারণে ওইদিন বহু মানুষের জীবন বেঁচে গেছে।
Advertisement
৪০ বছর বয়সী রামেশ নিজে প্রাণ হারালেও ওই গির্জায় থাকা প্রায় সাড়ে চারশ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।
তার স্ত্রী ক্রিসান্থিনি গির্জাতেই সানডে স্কুল টিচার হিসেবে কাজ করেন এবং ওইদিনও তিনি ক্লাসে গিয়েছিলেন। তিনি ও রামেশ প্রতি সপ্তাহেই বাচ্চাদের গির্জায় নেন এবং পরে সন্তানদের প্রার্থনায় নিয়ে যেতেন রামেশই।
ক্লাস শেষে ক্রিসান্থিনি ও কয়েকটা শিশু বাইরে যান খাবার কিনতে এবং তখনও ইস্টার সানডের কার্যক্রম শুরু হয়নি। গির্জার বাইরের চত্বরেই তিনি এক ব্যক্তিকে বড় ব্যাগসহ দেখেন। ওই ব্যক্তি বলছিল, তার ব্যাগে ভিডিও ক্যামেরা এবং তিনি ভেতরে প্রার্থনার ভিডিও ফুটেজ নেবেন।
Advertisement
রামেশের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী কিছু একটা সমস্যা আঁচ করতে পারছিলেন এবং ওই ব্যক্তিকে বললেন তাকে আগে অনুমতি নিতে হবে। পরে এক প্রকার জোর করেই ওই ব্যক্তিকে চলে যেতে বাধ্য করেন তার স্বামী।’
ক্রিসান্থিনি ভেতরে চলে যান যেখানে প্রায় ৪৫০ জনের মতো মানুষ প্রার্থনায় যোগ দেয়ার অপেক্ষায়। এর মধ্যেই বড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো। বিস্ফোরণের কারণে যার যার মতো এদিত ওদিকে পালালো। ক্রিসান্থিনি ও তার পরিবারের সদস্যরাও পালান এবং দ্রুতই রামেশকে খুঁজতে হাসপাতালে যান।
কয়েক ঘণ্টা পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায় যেখানে ক্রিসান্থিনি তাকে সর্বশেষ দেখেছিলেন। গত সোমবার দাফন করা হয়েছে রামেশকে।
জেএইচ/জেআইএম
Advertisement