শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলায় নিহতদের জন্য অল ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বুধবার শোক বার্তায় ক্লাবের সভাপতি ফায়সাল আহমেদ দ্বীপ, সাধারণ সম্পাদক জমির হোসেন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি মিরন নাজমুল গভীর উদ্বেগের সঙ্গে এ শোক প্রকাশ করেন।
Advertisement
একই সঙ্গে শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শোক বার্তায় ক্লাবের সদস্যরা বলেন, ‘এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনো জাতির জন্য শুভ নয়। যে কোনো দেশের জন্য যেমন অমঙ্গল তেমনিভাবে বিশ্বজুড়ে একটি আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এর ফলে বিশ্বময় অস্থির একটি পরিবেশের জন্ম দেয়। আর সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম থাকতে পারে না।’
এ ছাড়াও অন্যদের মধ্যে শোক জানান, রিয়াজ হোসেন, মাহবুব সুয়েদ, আখি সীমা কাউছার, হাবিবুল্লাহ আল বাহার, ফারুক আহাম্মেদ মোল্লা, জামিল আহমেদ সাহেদ, কবির আল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রনি মোহাম্মদ, সাইফুল আমিন, হাসান তামিম, মো. রাসেল আহমেদ, জাহিদ কায়সার, মোহাম্মদ আসলামুজ্জামান, কার্যকরী সদস্য অ্যাডভোকেট আনিচ্ছুজামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় গীর্জা এবং বিলাসবহুল হোটেল ও অন্যান্য স্থাপনায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বেড়ে ২৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার সকালের দিকের এই সিরিজ হামলায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৫০০ জন।
Advertisement
ইস্টার সানডের সকালে কলম্বোর বিলাসবহুল সিনামুন গ্রান্ড, শাঙ্গরি-লা ও কিনসবুরি হোটেল ও কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি গীর্জা, নেগোমবোর সেন্ট সেবাস্তিয়ান গীর্জা ও বাত্তিকালোয়ার জিওন গীর্জায় ওই হামলা হয়।
দেশটির প্রধান এবং প্রসিদ্ধ গীর্জাগুলো ইস্টার সানডের দিনে আক্রান্ত হতে পারে বলে ওই সতর্কবার্তায় জানান তিনি। রোববার সকাল ৮টার দিকে প্রথম বিস্ফোরণের খবর আসে। সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে নিহতের সংখ্যা ততই লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটির ইতিহাসে এই হামলাকে কালো অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পুরো দেশে কারফিউ বলবৎ থাকবে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এমআরএম/জেআইএম
Advertisement