আগামী অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাখাতে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ ও জাতীয় আয়ের ৭ শতাংশ বিনিয়োগের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘আগামী বাজেট ও শিক্ষাখাত : আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে এমন দাবি করেন বক্তারা।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধের প্রস্তাবনায় বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঋণ দিতে হবে, যা কর্মজীবনে গিয়ে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করবেন তারা। শিল্প-কারখানা, প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা তাদের লাভের শতকরা ৩ শতাংশ অর্থ সরকারকে দেবে, সরকার সে অর্থ দিয়ে এডুকেশন ব্যাংক চালু করবে। ২০৪১ সালে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে এনে বিনামূল্যে সব কিছু প্রদান করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বাজেটে যে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় তা টাকার পরিমাণে কম নয়, কিন্তু জনসংখ্যার অনুপাতে সেটি খুব কম।
Advertisement
দলের নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষার মানোন্নয়নে বিষয়টি তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে যে পরিমাণ আর্থিক বরাদ্দ দরকার, আমরা সেটা পাবো বলে আশা করছি। গত দশ বছরে সংখ্যাগত উন্নয়নের সঙ্গে শিক্ষার মান বাড়ানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির এনএইচএনের ডিরেক্টর অ্যান্ড কনসালট্যান্ড ডা. সি এম দিলোয়ার রানা উপস্থিত ছিলেন।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, নতুনরা শিক্ষা বাজেট নিয়ে ভাবছে- এটিই বড় পাওয়া। তিনি স্কুলে ‘মিড ডে’ মিলে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করতে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, পেটে ক্ষুধা রেখে বিদ্যা হয় না। মিড ডে মিলে বিস্কুট দিলে চলবে না। তাদের পেট ভরে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষায় বাজেট বৃদ্ধি করবে- এটা সরকারের অঙ্গীকার। তিনি বলেন, মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষকের প্রয়োজন। তাই যোগ্য, দক্ষ ও অভিজ্ঞ ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে ন্যূনতম মানবিক মূল্যবোধ রয়েছে কিনা- তা বিবেচনা করতে হবে।
Advertisement
এমএইচএম/এসআর/এমকেএইচ