দেশের শিশুরা বইয়ের ব্যাগের ভার বহন করতে পারছে না। কোমলমতি শিশুরা পড়ার চাপে খেলাধুলারও সময় পায় না। এমন অবস্থায় শিশু কী পড়বে, তা নিয়ে গবেষণা চান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।
Advertisement
তিনি বলেছেন, শিশুদের সার্বিক সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য পাঠ্যক্রম প্রণয়নে গবেষণা করতে হবে।
‘বর্তমান সরকার দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম শিশুদের ওপর অধিকতর বিনিয়োগ করছে এবং তাদের উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ, এই শিশুরাই আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ এবং দেশের ভবিষ্যতের কাণ্ডারি। তারাই বাংলাদেশকে উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নিয়ে যাবে’,- বলছিলেন অধ্যাপক মান্নান ।
উন্নয়ন যোগাযোগ বিষয়ে শিশুদের সুরক্ষা ও তাদের অধিকারগুলো পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি এবং গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনায় দিনব্যাপী জাতীয় এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ কর্মশালা হয়।
Advertisement
জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির সহায়তায় এ সম্মেলনের আয়োজন করে ইউজিসি। এর লক্ষ্য শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সামাজিক আচরণ পরিবর্তনের ওপর দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা পরিচালনা করা।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (সিফরডি) প্রধান নেহা কাপিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউএসএ’র মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. অ্যান্ড্রু কার্লসনের এবং ইউনিসেফ, বাংলাদেশের চিফ অব ফিল্ড সার্ভিসেস সাইরোজ মাওজি।
শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইউনিসেফের উদ্যোগকে স্বাগত জানান অধ্যাপক মান্নান।
কর্মশালায় সাইরোজ মাওজি বলেন, ইউনিসেফের এ উদ্যোগ বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী একটি নবদিগন্ত উন্মোচন করবে। সামাজিক আচরণ পরিবর্তনের কৌশলগুলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তা করবে। এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং উন্নয়ন যোগাযোগ পেশাজীবীদের একটি নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসবে।
Advertisement
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমানসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, ইউজিসি, ইউনিসেফ এবং উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএম/জেডএ/পিআর