দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন নন্দিত অভিনেতা সালেহ আহমেদ। মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে আজ তিনি পরপারে পাড়ি জমালেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
Advertisement
বুধবার বেলা ২টা ৩৩ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মামাতো ভাই অভিনেতা আহসানুল হক মিনু জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সালেহ আহমেদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংস্কৃতি অঙ্গনে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী মুসলিমা আহমেদের সংসারে দুই মেয়ে, এক ছেলে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ এই অভিনেতা। সপ্তাহ খানেক আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে আবারও অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেতা সালেহ আহমেদ।
Advertisement
প্রায় পাঁচ বছর ধরে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নেন। তবে ক্রমেই ৮৩ বছর বয়সী এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। অবশেষে হঠাৎ শরীর বেশি খারাপ হওয়ায় সপ্তাহ খানেক আগে তাকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সালেহ আহমেদের জন্ম। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে চাকরির পাশাপাশি ময়মনসিংহে অমরাবতী নাটমঞ্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই অভিনেতা। স্বাধীনতার আগে বিটিভিতে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতেন।
১৯৯১ সালে অবসরে যাওয়ার পর হুমায়ূন আহমেদের নাটকে ও চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ধারাবাহিক ‘অয়োময়’ নাটক এবং ‘আগুনের পরশমণি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জগতে তার দাপুটে পদচারণা শুরু। এরপর অসংখ্য টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক।
এমএবি/এলএ
Advertisement