দেশজুড়ে

পাবনায় তিন পুলিশ হত্যায় আটজনের যাবজ্জীবন

পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচরে তিন পুলিশ সদস্যকে হত্যার দায়ে আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন।

Advertisement

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম, আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত ঢালু প্রামাণিকের ছেলে হাশেম ওরফে খোকন ওরফে বাচ্চু, রাজবাড়ী জেলার মাইছে ঘাটা গ্রামের মৃত চেনের উদ্দিনের ছেলে জোসন মোল্লা, বেড়া উপজেলার রাজধরদিয়া গ্রামের মৃত ওফাজ ফকিরের ছেলে নিজাম ফকির, ধারাই গ্রামের মৃত জনা মণ্ডলের ছেলে রফিক ওরফে জৈটা রফিক, পশ্চিম কাছাদিয়া গ্রামের আলীর ছেলে আইয়ুব আলী, শমসের সরদারের ছেলে শুকুর আলী সরদার এবং জেলার সুজানগর থানার পাকুরিয়া গ্রামের মৃত জেসের আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে কানা আলম।

এদের মধ্যে জহুরুল ইসলাম ও হাশেম ওরফে খোকন ওরফে বাচ্চু এখনো পলাতক। রায় ঘোষণাকালে বাকি ছয় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তিন আসামি। মামলায় ১৫ আসামির মধ্যে বাকি চার আসামি বিচার চলাকালীন বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।

Advertisement

আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু।

মামলার বিবরণে তিনি জানান, ২০১০ সালের ২০ জুলাই সন্ধ্যায় একদল সশস্ত্র চরমপন্থী পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে। চরমপন্থীরা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই কফিল উদ্দিন (৪৮), নায়েক আবদুল ওয়াহেদ আলী (৩৬) ও পুলিশ কনস্টেবল শরিফুল ইসলামকে (৩৫) গুলি করে হত্যা করে।

এ ঘটনায় আহত হন আরও চার পুলিশ সদস্য। পুলিশ হত্যার পর চরমপন্থীরা অস্ত্র ও গোলাবারুদও লুট করে নিয়ে যায়। পরে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা) নামে একটি সংগঠন পুলিশ হত্যার দায় স্বীকার করে এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে।

এ ঘটনার পর দিন বেড়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করা হয়। পরে তদন্ত শেষে পুলিশ ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

Advertisement

মামলাটি গত বছর পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে রাজশাহীর বিভাগীয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। শুনানির পর বুধবার বিচারক এ রায় দেন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/এমএস