জাতীয়

দেশে প্রতি বছর ধূমপানে মারা যায় ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষ

বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষ ধূমপানের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগে মারা যায় এবং তিন লাখ ৮২ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে বলে জানিয়েছে টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল।

Advertisement

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল আয়োজিত ‘আইন অনুযায়ী তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন- বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

গবেষণার তথ্য উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ধূমপানের কারণে দুহাতে প্রায় ৪ হাজার বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ জমে যা বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে। এর মধ্যে ৭০টি রাসায়নিক পদার্থ সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় তামাকজনিত অসংক্রামক রোগের ঝুঁকিও বেড়েছে। তামাকজনিত ব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা বা ৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষ ধূমপানের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগে মারা যায় এবং তিন লাখ ৮২ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে।

এসব বিবেচনা করে সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশমালা তুলে ধরেন তারা। সুপারিশগুলো হলো- সকল তামাক পণ্যের মোড়কে ৯০ শতাংশ এলাকা জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদর্শন করা, বিড়ি, জর্দা ও গুলের ক্ষেত্রে মোড়কের ভিন্নতা, মোড়কের মান না থাকা, সাইজের ভিন্নতা, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের উপযুক্ত না থাকা, এ সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান হতে পারে অভিন্ন মোড়ক প্রবর্তন, খুচরা শলাকা ও পানের সাথে জর্দা বিক্রি বন্ধ খোলা তামাক ও সাদা তাকে মোড়কে আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বিহীন তামাকপণ্য ধ্বংস করা এবং উৎপাদিত পণ্যের মোড়কে উৎপাদনকারী কোম্পানির নাম ঠিকানা সুনির্দিষ্ট করে মুদ্রণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং উৎপাদনের তারিখ প্রদান বাধ্যতামূলক করা।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনআরবিরের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির আহমেদ, দ্য ইউনিয়নের পোনিফ্যাল অ্যাডভাইজার মাহবুবুল আলম এবং জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন প্রমুখ।

এইউএ/এমবিআর/এমএস