সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম প্রহরী নিয়োগে (অস্থায়ী) আর্থিক লেনদেন চলছে বলে অভিযোগ পেয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Advertisement
আর্থিক দেনদেন না করতে মঙ্গলবার সতর্কতা জারি করেছে মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ পদে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান। এ পদে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য সম্প্রতি নীতিমালা সংশোধন করা হয়।
সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী, এ পদে নিয়োগ দেবে উপজেলা শিক্ষা কমিটি। আগে এই পদে নিয়োগ দিতে সংসদ সদস্যের সুপারিশ লাগত।
Advertisement
অভিযোগ রয়েছে, সংসদ সদস্যরা যখন সুপারিশ করতেন তখনও দুর্নীতি হতো, চলতো টাকার খেলা।
এখন এ পদে নিয়োগের জন্য আর আর্থিক লেনদেন না করতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সতর্কতা জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘পদটি সরকারের রাজস্ব খাতের কোনো পদ নয়। এটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী পদ। এ মর্মে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে, এ পদে নিয়োগের জন্য কোনো কোনো ব্যক্তির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করা হচ্ছে। যেহেতু পদটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী এবং এটি রাজস্ব খাতের কোনো পদ নয়, সেহেতু এ পদে যারা নিয়োগ পাচ্ছেন তাদের চাকরি স্থায়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
‘এ কারণে দফতরি কাম প্রহরী পদে চাকরি পাওয়ার জন্য কোনো ব্যক্তি, কর্মকর্তা বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দেয়া সমীচীন হবে না। এতে এ পদে চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিগ্রহীতা চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন’ উল্লেখ করা হয় মন্ত্রণালয়ের সতর্ক বার্তায়।
Advertisement
এতে আরও বলা হয়, ‘এমতাবস্থায় এ পদে নিয়োগ লাভের জন্য কোনোরূপ আর্থিক লেনদেন না করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরামর্শ দেয়া হলো।’
উল্লেখ্য, বিগত সময়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম প্রহরী নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। অনেকে টাকা দিয়ে নিয়োগ পান, অনেকে আবার টাকা দিয়ে নিয়োগ না পেয়ে আদালতের দারস্থ হন, মামলা করেন। সারাদেশে এ-সংক্রান্ত দুই শতাধিক মামলা রয়েছে।
এমএইচএম/জেডএ/পিআর