জাতীয়

ডিজিটাল শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই : গর্ভনর

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে ডিজিটাল শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান। বুধবার দুপুর দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে ‘দ্যা ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ডিজিটাল এডুকেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।ড. আতিউর রহমান বলেন, আমরা যদি দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে রূপ দিতে চাই তাহলে আমাদের প্রধান কাজ হবে আমাদের শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেয়া। আর এই শিক্ষার সাথে আমাদের প্রযুক্তিকে যুক্ত করতে হবে। সেখানে অবশ্যই ডিজিটাল বা আধুনিকতা থাকবে। ব্যাকবোন ফাউন্ডেশন, সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি এবং ঢাবি ডেবেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ দিনব্যাপী কনফারেন্সটির আয়োজন করে।তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি গত কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে পুরোপুরি ডিজিটাল করার। সে হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন কোন শাখা নেই যা পুরোপুরি ডিজিটাল নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু নিজে ডিজিটাল হয়নি সমস্ত ব্যাংকে ডিজিটাল এর আওতায় নিয়ে আনার কাজ করে যাচ্ছে।গর্ভনর বলেন, আগামী এক দশকের মধ্যে আমরা বিশ্বের মধ্যে উচ্চ মধ্যবিত্ত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জন্যে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আমরা নিন্ম মধ্যবিত্ত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি।তিনি বলেন, আমাদের কথায় কাজে চিন্তা চেতনায় ডিজিটাল হতে হবে। আর নৈতিকতার সাথে প্রযুক্তির সমন্বয়েই ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্ভব। গত বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগ বাক্সে ৪ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছিল, আমরা তার সবগুলোর সমাধান জনগণকে দিতে পেরেছি।২০২১ সালের ভিশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছেে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫০ কোটি টাকা ব্যায় করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপসহ বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের সফটওয়্যার তৈরিতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণও দিয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে বলেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন শিক্ষার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বাংলাদেশ গরীব রাষ্ট্র হওয়ার কারণে এখানকার অনেক শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের আগ্রহ থাকলেও তারা তা পারছেনা। আমি বলবো এখানকার শিক্ষার্থীরা খান একাডেমির মতো নিজেদের আরো বেশি ক্রিয়েটিভ হতে হবে।এসময় জাপানের হিতোতশুবাসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেশিরো ইউনেকুরা বলেন, একটি দেশকে উন্নত করতে হলে সবার আগে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কি পরিবর্তন করেছে? মূলত আমরা আমাদের জনশক্তিকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়েছি। যার কারণে আজ আমরা উন্নত। বাংলাদেশে অনেক বেশি জনশক্তি রয়েছে। কিন্ত এরা কিছু করতে পারেনা। আমি বলবো সরকার এদেরকে সহযোগিতা করলে এরাও মানবসম্পদে পরিণত হবে।ডেবেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ সভাপতিত্বে কনফারেন্সে আরো বক্তব্য রাখেন- শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, জাপানের হিতোতশুবাসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেশিরো ইউনেকুরা প্রমূখ।এমএইচ/এসকেডি

Advertisement