আন্তর্জাতিক

গো-মূত্রে আমার ব্রেস্ট ক্যানসার নিরাময় হয়েছে : সাধ্বী প্রজ্ঞা

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে অন্যতম বড় উপকরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গরু। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সৌজন্যে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনেও ফের আলোচনায় এসেছে ‘গোমাতা’।

Advertisement

সেই আলোচনায় এবার ঘি ঢেলে দিলেন ভোপাল কেন্দ্রের বিজেপির নারীপ্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা। সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, গো-মূত্র থেকে তার ক্যানসার রোগ সেরে গেছে।

সমাজে এবং মানবজীবনে গরুর গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। বর্তমানে গরুকে গুরুত্ব দেয়া হয় না বলেও দাবি করেছেন তিনি। বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে সাধ্বী বলেন, গোধন অমৃত সমান। এরপরেই তিনি বলেন, ‘আমি ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলাম। নিজেই তা নিরাময় করতে সক্ষম হয়েছি। গো-মূত্র এবং পঞ্চগভ্য মিশ্রণে তৈরি আয়ুর্বেদিক ওষুধে আমার ক্যানসার সেরে গেছে।’

গরুর সেবা করলে মানুষের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে বলেও এদিন দাবি করেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। তবে এক্ষেত্রে সুনিদৃষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে গোমাতার সেবা করতে হবে বলে মত দিয়েছেন তিনি। তার ভাষ্য, গরুর পেছন থেকে সামনে পর্যন্ত হাত দিয়ে আদর করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। উল্টো করলে শরীর অস্থির হয়ে যাবে। এটি সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক কথা বলেও দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তার দাবি, গোয়ালঘর ঘর তপস্যা করার জন্য আদর্শ স্থান।

Advertisement

সোমবার ভোপাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে মলেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এমন ব্যক্তিকে প্রার্থী করা নিয়েও শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

এর আগে একটি হিন্দি টেলিভিশন চ্যানেল ‘আজাদ’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাধ্বী বলেছিলেন, ‘৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার কাজে আরও অনেকের সঙ্গে আমিও শামিল হয়েছিলাম। এজন্য আমি গর্ববোধ করি। কারণ, ওই মসজিদ আমাদের দেশের একটি কলঙ্ক ছিল।’

ভারতে গোমাতা-গোমূত্র এবং বিজেপি নেতাদের নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অঘটন ঘটে গেছে। গুরুর মাংস বিক্রিকে কেন্দ্র করে দেশটিতে প্রায়ই মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

সোমবার দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা এবং সেখানে গরুর গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল সাধ্বী প্রজ্ঞাকে। সেই সময়েই তিনি গরু এবং গোরক্ষা নিয়ে একগুচ্ছ মন্তব্য করেন। গরুর গুরুত্বের কথা তুলে ধরতে নিজেকেই উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন তিনি।

Advertisement

এসআর/এমকেএইচ