একচেটিয়ে প্রাধান্য নিয়ে খেলে, ভুরিভুরি সুযোগ পেয়ে এবং ৩০ মিনিটে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের মেয়েরা ২-০ ব্যবধানে জিতলো? বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলের উদ্বোধনী ম্যাচের পর এমন প্রশ্ন দর্শকদের মুখে মুখে।
Advertisement
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেও গোলসংখ্যা বাড়াতে না পারা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকে।
পুরো মাঠ দাপিয়ে খেলে আরব আমিরাতের বক্সে গিয়ে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা। যার পায়ে বল, তারই গোল দেয়ার শখ-অনেকটা স্বার্থপর ফুটবল। গোল তাই আর বাড়েনি। এটা নিঃসন্দেহে ফিনিশিং দুর্বলতা। স্বীকার করেছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও।
তাই বলে অখুশি নন কোচ। ছোটন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা। তা পেরেছি। ফরোয়ার্ডরা আরেকটু মনোযোগী হলে কৃষ্ণা কিংবা স্বপ্নার হ্যাটট্রিকও হয়ে যায়। আমি এ জায়গাটা নিয়ে আরো কাজ করবো।’
Advertisement
গোল না বাড়লেও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মেয়েদের একই গতিতে খেলে যাওয়ার প্রশংসাটুকু করতে ভোলেননি ছোটন, ‘আমাদের মেয়েদের খেলায় কখনো ছন্দপতন হয়নি। পুরো ৯০ মিনিটই দাপটের সঙ্গে খেলেছে। গোল হবে, মিস হবে-এটা তো ফুটবলেরই অংশ। তারপরও যে দুর্বলতার কারণে গোলসংখ্যা বাড়েনি, সে দুর্বলতাগুলো যাতে পরের ম্যাচগুলোতে না হয় তা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
আরআই/এমএমআর/পিআর