আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে হামলার সাথে মিল রয়েছে শ্রীলঙ্কার ঘটনায়

শ্রীলঙ্কায় একাধিক গির্জা ও অভিজাত হোটেলে মর্মান্তিক বোমা হামলার ঘটনার সঙ্গে গত বছর পাকিস্তানে এবং ২০১১ সালে নাইজেরিয়ায় হামলার মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

Advertisement

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা শিরাল লাখথিলাকা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এমন কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আরও দুই অথবা তিনটি হামলার আশঙ্কার কথা বলেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

শিরাল লাখথিলাকা বলেন, ‘হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার ব্যাপারটি খুবই স্পষ্ট।’ তিনি ভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘কলম্বোর সিনামোন গ্রান্ড হোটেলে বিস্ফোরণের আগে সন্দেহজনক গতিবিধির উপর ভিত্তি করে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন>> শ্রীলঙ্কায় লাশের মিছিল, নিহত বেড়ে ২৯০

Advertisement

লাখথিলাকা বলেন, ‘এমন একটি সিরিজ বোমা হামলা ও হত্যার ঘটনা শ্রীলঙ্কার দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধেও (তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের সঙ্গে) ঘটেনি। আমরা ঠিক একই রকম হামলা দেখেছি ২০১১ সালে নাইজেরিয়ায় এবং পাকিস্তানে ২০১৮ সালে।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

হামলা নিয়ে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করে বলেন, ‘এই ঘটনার সব দিক নিয়েই বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। নিরাপত্তার ব্যর্থতা নিয়ে এখনই কিছু বলা হয়তো সমীচীন হবে না। সন্ত্রাসীরা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়েছে। আমরা সন্দেহ করছি এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা আছে।’তিনি আরও জানান, ‘আমরা এখনো এই মর্মান্তিক হামলার ঘটনায় কোনো ব্যক্তি, রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় অ্যাঙ্গেল থেকে কাউকেই চিহ্নিত করতে পারিনি। দেশের সব ধর্মীয় স্থাপনা ও হোটেলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তাছাড়া যেকোনো সংকটজনক পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত।’

শীলঙ্কার ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা পাকিস্তান ও নাইজেরিয়ায় কোন হামলার কথা বলেছেন তা উল্লেখ না করলেও ২০১১ সালের ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে উদযাপন চলাকালে গির্জায় বোমা হামলার ঘটনায় ৪১ জন নিহত ও ৭৩ জন খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ আহত হন।

এসএ/এমকেএইচ

Advertisement